নুরুল কবির,বান্দরবান :

বান্দরবানে শনিবার দুপুরে ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসব। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির উদ্বোধনের পরপরই যুবক-যুবতী, শিশু-কিশোর, আগত পর্যটকের জল খেলা উৎসবে মেতে উঠে। জলকেলী বা পানি বর্ষণ উৎসব মারমা সম্প্রদায়ের হলেও উৎসবে আনন্দ ভাগাভাগি করেছে সব সম্প্রদায়ের, সব বয়সের মানুষ। শহর জুড়ে পানি খেলা উৎসবে মেতে উঠে সবাই। শনিবার দুপুরে জেলা ঐতিহ্যবাহী বোমাং সার্কেল রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলী উৎসব। এতে সব বয়সী নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করে। একে অপরের গায়ে পানি ঢেলে উৎসবে মেতে উঠে। জলকেলী উৎসব উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার পরিষদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, বান্দরবান ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়ের সালেহীন, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রমুখ।

প্রতি বছর বাংলা সনের নববর্ষকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয় সাংগ্রাই উৎসব। নববর্ষকে পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন নামে অবহিত করে। চাকমারা বিঝু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, ত্রিপুরারা বৈসু নামে অবহিত করে। নববর্ষকে যে নামে ডাকা হোক না কেন সমতলের চাইতে পার্বত্য অঞ্চলে নববর্ষের আনন্দের আমেজ ভিন্ন ধরণের। খুব ভোরে উঠে নদীতে ফুল ভাসানো, ঘরে প্রবেশের প্রধান দরজা ফুল দিয়ে সাজানো, পাচন তৈরি (নববর্ষকে ঘিরে ঐ দিনে বিভিন্ন প্রকার সবজি দিয়ে তৈরি করা সবজি তরকারীর নাম পাচন), ঘিলা খেলা, বলী খেলা, পিঠা তৈরি, বয়স্কদের পূজা করাসহ নানা ধরণের আয়োজন হয়ে থাকে। নববর্ষকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন আদিবাসীরা প্রত্যেক সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে উৎসবে অংশ গ্রহন করে