পেকুয়া সংবাদদাতা:

পেকুয়ায় অপহৃত যুবক এস.আলম বাস সার্ভিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ দুলালকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা হাল-সাং উত্তর মেহেরনামার মৃত আব্বাস আহমদের পুত্র। ১১এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বারবাকিয়াস্থ শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে এসআই নাসিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অপহৃত ওই যুবকের পক্ষ থেকে তার মামা বদিউল আলম বাদি হয়ে মগনামা এলাকার নুরুল আলম, মো:মনির, পুতু আকতার, বারবাকিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম, মো: নুর, মো: ভেট্টাকে আসামী করে লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহার সূত্রে বাদি অভিযোগ করেন, অপহৃত দুলাল এস.আলম গাড়ির সুপারভাইজার। গত ১০ এপ্রিল ৩টার দিকে সে ভাড়া নিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রাম যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে গাড়িটি ডুলহাজারা ঢালার মুখ স্থানে আসলে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গাড়ি থেকে ৫হাজার ইয়াবা ও এক ব্যক্তিকে আটক করে। সুপারভাইজার দুলালের সাথে পুলিশের যোগাযোগ আছে অভিযোগ তুলে আটককৃত ব্যক্তি এজাহার নামীয় ব্যক্তিদের খবর দেয়। পরে গাড়িটি চকরিয়ায় পৌছলে সুপারভাইজার দুলালকে গাড়ি থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে বারবাকিয়া শহিদুল ইসলামের বাড়িতে আটকিয়ে রাখে। এ সময় তাকে মারধর ও গাড়ির আমদানীর টাকা হাতিয়ে নেয় ও পরিবারের কাজ থেকে মুক্তিপন হিসাবে দু’লক্ষাধিক টাকা দাবী করে। পরে ১১ এপ্রিল অপহৃত দুলালের পরিবার ঘটনাটি পেকুয়া থানার ওসিকে অবগত করলে এসআই নাসিরসহ একদল পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম অপহরণের কথা অস্বীকার করলেও টাকার লেনদেন নিয়ে দুলালকে তার বাড়িতে আটক রাখার কথা স্বীকার করেন। পুলিশ তার বাড়িতে আসলে তাকে তারাই পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান এর সরকারী মোঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করি। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।