মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া দক্ষিণ :
চকরিয়া উপজেলাধীন খুটাখালী ইউনিয়নে হত দরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচীতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামের সহজ সরল দরিদ্র জনগোষ্ঠির নাম ব্যাবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। কাগজে কলমে ও ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন তালিকায় নাম থাকলেও মাঠ পর্যায়ে দেখা মেলেনি এক তৃতীয়াংশ শ্রমিকের। কর্মসংস্থান কর্মসুচির মাষ্টাররোলে রয়েছে এমন অনেক শ্রমিকের নাম উল্লেখ করলে তারা কাজ করবে দুরের কথা, চিনেও না বলে জানান কর্মরত শ্রমিকরা। এছাড়াও তালিকাভূক্ত অনেক শ্রমিকই জানেনা তাদের নাম ওই কর্মসুচিতে রয়েছে। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংক খুটাখালী শাখা থেকে প্রদত্ত তালিকায় মাষ্টাররোলে থাকা সকলের নামেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানাযায়। এতে সরকারের বরাদ্ধকৃত টাকার এক তৃতীয়াংশ আত্মসাত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

অর্থবছর ২০১৬-২০১৭ এর ১ম পর্যায় কর্মসূচির আওতায় খুটাখালী ইউনিয়নের কার্যক্রম পরিদর্শন করে এ চিত্র উঠে আসে। এ সুবিন্যস্ত তীক্ষ্ণ পরিকল্পনায় অপকর্মের মুল হুতা খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হুমাইয়ুন কবির বলে জানান অনেকে। সময়ের জেলার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ খুটাখালীকে ঢুবাচ্ছেন এই সচিব হুমাইয়ুন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। কর্মসূচির কর্মপদ্ধতিতে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতি ৩ ওয়ার্ড সমন্বয় তৈরি করা হয় একটি করে প্রকল্প। প্রতিটি প্রকল্পে একজন করে ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে প্রকল্প-১ (১,২,৩ নং ওয়ার্ড) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য তারেকুল ইসলাম, প্রকল্প-২ (৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি সদস্যা সালেহা আক্তার, ও প্রকল্প-৩ (৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য ওয়াসিম আকরাম। যদিও ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রকল্প বিন্যাস করা হলেও প্রকৃতপক্ষে মাষ্টাররোলে তার বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি প্রকল্পে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের বাইরে অন্যান্য ওয়ার্ড থেকেও শ্রমিকের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে যা নিতান্তই দুর্নীতির পূর্ব বিন্যাস। অনেক সদস্য নিজেদের কার্যক্রমে শ্রমিকের তালিকা করণে হ-য-ব-র-ল অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন। উপজেলা পরিষদ থেকে ওভাবে পাঠিয়েছে বলেও জানান প্রকল্পে দায়িত্বরত ইউপি সদস্যরা। তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শ্রমিকের নাম ঠিকানা সমূহ যদি না পাঠায় কি ভাবে উপজেলা পরিষদ তা পায় এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন থেকে যায়।

এছাড়াও পূর্বের অর্থ বছরেও ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ সহ অনিয়মের একই চিত্র বিরাজমান ছিল বলে জানায় স্থানীয় সচেতন মহল। এব্যাপারে খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মৌলানা আব্দুর রহমান বলেন অনিয়মের কথা এখন আপনাদের কাছ থেকে শুনেছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে সত্যতা যাচাই পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।