হারুনর রশিদ,মহেশখালী :

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মহেশখালীতে আবারও এক স্কুল ছাত্রীর মুখে ধারালো ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেছে এক বখাটে। গতকাল বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে তার উপর এই হামলা চালানো হয়। আহত ছাত্রী  মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইন-চার্জ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

হামলায় আহত ছাত্রীর ভাই মাসুক জানান , বড় মহেশখালী দেবাঙ্গাপাড়া এলাকার জনৈক সুদি আবু তাহেরের পুত্র আশেক উল্লাহ গত কয়েক মাস ধরে তার বোনের স্কুলে আসা যাওয়ার পথে নানা ভাবে উক্ত্যক্ত করে আসছিল। বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রণীর এই ছাত্রী( নাম পরিচয় গোপন রাখা হল)’কে নানা ভাবে ইভটিজিং করার এক পর্যায়ে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এসময় ওই বখাটে ছেলেটির পিতা-মাতাকে ডেকে এনে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সন্তানের এমন আচরণের বিষয়ে অবগত করেন। তারা ছেলের দায়িত্ব নিয়ে এধরণের ঘটনা আর হবে না মর্মে অঙ্গিকার করে। ইতোমধ্যে এলাকার প্রভাবশালী এই বখাটের পক্ষ থেকে ছাত্রীর পরিবারকে নানা ভাবে হুমকী দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৪ টার দিকে স্কুল ছুটির পর এই ছাত্রী পায়ে হেটে বাড়ি ফিরছিল। আরও একজন সহপাঠীর সাথে ওই ছাত্রী দেবাঙ্গাপাড়া চিতার সামনে পৌছলে স্থানীয় জনৈক আব্দুর রশিদ ওরফে দুলিয়্যা চোরার পুত্র সাহেদ ও বখাটে আশেক ওই ছাত্রীর গতিরোধ করে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এসময় বাঁধা দিলে এই স্কুল ছাত্রীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে ধারালো ক্ষুর দিয়ে ছাত্রীর মুখমণ্ডলের বাম দিকের কপোলে আঘাত করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায় এসময় মেয়েটির কপোলের বড় অংশ কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ফাঁকা গুলি করে হামলাকারিরা সটকে পড়ে। কমান্ডো স্টাইলে এই হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে মনে করেন স্থানীরা। এদিকে এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির আযাদ। এদিকে এই ঘটনার পর তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালাম ও মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসির তাৎক্ষনিক পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। তিনি প্রশাসনের তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়ার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এদিকে এই ঘটনায় গতকাল রাতেই আশেককে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে উল্লেখ মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ হামরাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান।