লামা প্রতিনিধি:

বান্দরবানের লামা উপজেলায় মামলার বিবাদী পক্ষ কর্তৃক নারীসহ দুই স্বাক্ষীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি দুমছা পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। বিবাদী কর্তৃক মারধরের শিকার স্বাক্ষীরা হলেন- সরই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য নুরুল আবচার (৫০) ও তার স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪০)। শুধু এই দুই স্বাক্ষীকে নয়, বর্তমানে অপরাপর স্বাক্ষীকেও মারধরের হুমকি দিচ্ছেন মামলার বিবাদী কাউছার পারভিন (৪০), তার ছেলে মোবারক আলী (২৫), কোরবান আলী (৩৫) ও রোমান (২৮)সহ অন্যরা। কাউছার পারভীন ওমান প্রবাসী ওসমান গণির স্ত্রী। এ ঘটনায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নুরুল আবচার।

অভিযোগে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্ত মামলার বিবাদীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দুমছা পাড়ার বাসিন্দা আবদুল মন্নানের স্ত্রী হোসনে আরার (৪০) বসতভিটার জায়গা জবর দখল করতে যায়। এ সময় বাঁধা দিলে বিবাদীরা হোসনে আরাকে বেধম মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিবাদীদের কবল থেকে গৃহবধূ হোসনে আরাকে উদ্ধার করে কাছাকাছি পদুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ১৫ সেপ্টেম্বর হোসেন আরার অভিযোগের ভিত্তিতে লামা থানায় একটি মামলা (মামলা নং- ০৫) রুজু করা হয়। মামলায় নুরুল আবচার ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তারসহ স্থানীয় ৮জনকে স্বাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেন বাদী হোসেন আরা। বিবাদী পক্ষ মামলায় নুরুল আবচার ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তারসহ অন্যদেরকে স্বাক্ষী হিসেবে দেখে ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে বিবাদীরা স্বাক্ষীর বাড়ির উঠানে গিয়ে হাঁকাবকা ও বিভিন্ন হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ পর্যায়ে প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা স্বাক্ষী নুরুল আবচার ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে মারধর করে আহত করেন। পরে আহত দুই স্বাক্ষীকে উদ্ধার করে কাছাকাছি লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন স্থানীয়রা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শীরো আক্তার ও স্থানীয় মঞ্জুর আলম, খোরশেদ আলম, সামছুল আলম, মিজবা ্আক্তারসহ অনেকে বলেন, হোসনে আরাকে মারধরের ঘটনায় সাবেক মেম্বার নুরুল আবচার ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার স্বাক্ষী দেওয়ায় বিবাদী পক্ষ কাউছার পারভীনসহ অন্যরা লাঠি সোঠা নিয়ে মারধর করেন। ঘটনাটি খুবই দু:খ জনক। এদিকে মামলার স্বাক্ষী নুরুল আবচার ও পারভীন আক্তারকে মারধরের ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবী করেন, বিবাদী কাউছার আক্তার সহ অন্যরা।

এ বিষয়ে স্থানীয় ক্যয়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. আবুল হাসেম বলেন, হোসনে আরার মামলার স্বাক্ষী নুরুল আবচার ও পারভীন আক্তারকে বিবাদী কর্তৃক মারধরের ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।