প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

আগামী দিনগুলোতে রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটির সুরক্ষার বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছে ব্র্যাক। সেদিকটি লক্ষ্য রেখে অনুষ্ঠিত হলো ‘সেইফগার্ডিং এবং প্রোটেকশান ফ্রম সেক্সুয়াল এক্সপ্লোয়েশান অ্যান্ড এবিউজ (Protection from Sexual Exploitation and Abuse) বা পিএসইএ’ বিষয়ক ব্যতিক্রমী ’ক্যাম্প বেইজড সুরক্ষা বন্ধু’ ওরিয়েন্টেশন। এই নিয়ে কর্মীদেরকে আরও সচেতন করতে ভবিষ্যতে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম জোরালো করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২১) কক্সবাজারের একটি হোটেলে ‘সেইফ গার্ডিং অ্যান্ড পিএসইএ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এই অভিমত তুলে ধরেন। ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) আওতাধীন সেইফগার্ডিং ইউনিট এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া দুইদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ আজ শেষ হয়েছে। দুই ভাগে বিভক্ত ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আজ শেষ দিনে প্রথম সেশনে ছিল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট রিভিউ অ্যান্ড রিফ্রেশার ওরিয়েন্টেশন। দ্বিতীয় সেশনে ছিল সেইফগার্ডিং ও পিএসইএ বিষয়ক আলোচনা। এতে ৪৫ জন অংশ নেন।

শেষদিন সহায়ক হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ব্র্যাকের হিইম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস (এইচআরএলএস), সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড সেইফগার্ডিং ইউনিটের পরিচালক এস কে জেনেফা কে জব্বার।

এর আগে প্রথমদিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের এইচসিএমপি কর্মসূচির মানব সম্পদ বিভাগের আওতাধীন ট্রেনিং অ্যান্ড সেইফগার্ডিং ইউনিটের ম্যানেজার ফারজানা সিদ্দিকা। এতে সহায়ক হিসেবে ছিলেন ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ের মানব সম্পদ কর্মসূচির আওতাধীন সেইফগার্ডিং ইউনিটের টিম লিড তাহমিনা ইয়াসমিন। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ের সেইফগার্ডিং ইউনিটের ম্যানেজার তিলন অ্যান্ড্রুজ।

রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটির সকল মানুষের জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং ব্র্যাকের কর্মীদের শোষণ ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা বিষয়ক সচেতনতা গড়ে তুলতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। প্রথম দিন এতে ব্র্যাকের এইসিএমপি এর আওতাধীন মাঠ পর্যায় থেকে আগত বিভিন্ন কর্মসূচির ৩৪ টি ক্যাম্প থেকে ৩৪ জন কর্মী অংশ নেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে তাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, সেইফগার্ডিং ইস্যুতে কাজ ও তা বাস্তবায়ন করা সকলের দায়িত্ব। তবে এ নিয়ে কাজ করার সময় রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটিতে সুরক্ষার দিক থেকে কারা বেশি ঝুঁকিতে আছে তা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

এ সম্পর্কে ব্র্যাক এর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক জানান, ‘সেইফগার্ডিং’ এখন শুধু নারীদের বিষয় নয়, বরং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কর্মপরিবেশ ঠিক রাখতে এটি এখন অপরিহার্য বিষয়। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ব্র্যাক ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের ‘সুরক্ষা বন্ধুরা’ রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটিতে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম জোরালো করবে বলে আমার বিশ্বাস।