সিবিএন ডেস্ক:
সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে যা হচ্ছে, এতটা করার কোনও অর্থ নেই বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, ‘একটা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। বিদ্যুৎ নিয়েও এ রকম হয়েছে। আমাদের দেশে এক শ্রেণির মানুষ আছে, কোনও কাজই তাদের ভালো লাগে না।’

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ কাজের পরিদর্শন শেষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মন্ত্রী চট্টগ্রাম আসেন। নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘যেসব ইস্যু নিয়ে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা হচ্ছে, সেখানে তথ্যগত কোনও ভুল আছে কি-না সেটি খতিয়ে দেখার দরকার আছে। যে অভিযোগে আন্দোলন হচ্ছে, এটার ভিত্তি কতটুকু সেটি আমাদের যাচাই-বাছাই করতে হবে। এর জন্য সময় দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে, আমরা আনুষ্ঠানিক কোনও অভিযোগ পাইনি। কয়েকদিন আগে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। কিন্তু আন্দোলন এর আগেই শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলন হচ্ছে, এটা আমার পত্রিকা-টেলিভিশনে দেখতেছি। কিন্তু কী নিয়ে আন্দোলন, এটি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়নি। আমার বরাবরও কোনও দরখাস্ত করা হয়নি। জিএম, ডিজিএম, সচিব আছেন, তাদের কাছেও করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আছেন, ওনার কাছেও করা হয়নি। দরখাস্ত করলে কী কারণে আন্দোলন, আমরা বুঝতে পারতাম। দরখাস্ত দেওয়ার পর যদি জোর করে কিছু হয়, তখন না হয় আন্দোলনের প্রশ্ন আসবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, শুরুতে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ পাইনি। এখন মনে হয়, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তারা একটা দরখাস্ত করেছে। চুক্তি ও প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, এটা নিয়ে যাচাই-বাছাই হচ্ছে, এই পর্যায়ে কিন্তু কোনও অভিযোগ আসেনি। ২০১৩/১৪ সালের দিকে এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, কিন্তু তখন কেউ কোনও আপত্তি তোলেনি। যখন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি, তখন এটা নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে।’

এটি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দুই ভাগে ‘বিভক্ত’ হয়ে পড়েছে- জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি সবার ওপরে। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমাদের তা করতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা যে অভিযোগ পেয়েছি, সেটি আগে আমরা খতিয়ে দেখবো। এরপর প্রধানমন্ত্রী আছেন। উনি যা বলবেন তাই হবে। আপনারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। এখন আপনারা যদি না চান, তাহলে জোর করে তো চাপিয়ে দেওয়ার দরকার নেই।’