বিশেষ প্রতিবেদক
তৃণমূলের প্রত্যন্ত অঞ্চল অর্থাৎ সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন দুঃখজনকভাবে নিহত হয়েছেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম।
নিহত হালিম সোমবার ওই ইউনিয়নের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আবুল কালামের এজেন্ট ছিলেন। বিয়োগান্তিক এ ঘটনার পর দায়সারা মনোভাব নিয়ে ঘরে বসে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
নিজেদের আদর্শিক অবস্থান থেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে যে মানুষটি নির্বাচনী এজেন্ট থাকা অবস্থায় বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন সেই মহান মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে দ্বীপে ছুটে যান জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও মহেশখালী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মকছুদ মিয়া, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ সিনিয়র অনেকেই।
নেতৃবৃন্দ তাদের প্রিয় নিবেদিত কর্মী আবদুল হালিমকে কখনো না ভুলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগ তাকে কখনো ভুলবেনা।
এসময় হালিমের ছোট্ট অবুঝ শিশুগুলোকে সান্ত্বনা দেন মেয়র মুজিবুর রহমান।
তারপরও কঠিন বাস্তবতায় শোকাহত পরিবারটিকে ব্যক্তিগতভাবে এবং দলের পক্ষে গভীর সমবেদনা জানান তারা।
তারা বলেন, “নিহত আবদুল হালিম দলের জন্য যেভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন তা কখনো ভুলবার নয়। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”