ডেস্ক নিউজ:

কক্সবাজার সদরের জানারঘোনা এলাকায় মেয়ের স্বামী থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন চোখ উপড়ে ফেলেছে আলী হোসেন নামে এক যুবকের।
গত ১৮/০৯/২১ ইং তারিখে (শনিবার) রাত ১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। যুবকের বাড়ি উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ট্যাংখালী গ্রামের হোছন আলীর ছেলে। সে সদরের দরগাহ পাড়া গ্রামে স্ত্রী সহ ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

তথ্যসূত্রে জানা যায়,
ঘটনার দিন আলী হোসেন তার ব্যাবসায়িক কাজে চট্টগ্রাম যাবার উদ্দেশ্যে বের হলে তার ২য় স্ত্রী নাছিমা আক্তার তাসনিমের মা হুমাইরা বেগম জরুরি কথা আছে বলে তাকে তার ২য় স্ত্রীর বাড়ি ডেকে নিয়ে যায়। এসময় তার কাছে থাকা ব্যাবসার জন্য নিয়ে যাওয়া লক্ষাধিক টাকা দেখতে পায় হুরাইরা বেগম। নানান অযুহাতে টাকা খুজে না পেয়ে তার ২য় স্ত্রী নাছিমা আক্তার তাসনিম, শ্বাশুড়ী হুমাইরা বেগম, তার শ্বশুর নুরুল আজিম, তার শ্যালক নূরউদ্দিন সহ আরো ৭/৮ জন অজ্ঞাত লোক এসে আলী হোসেনের টাকাগুলো ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে এসময় সে বাধা দিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চুরিকাঘাত করে। চুরি দিয়ে দুই চোখ উপড়ে ফেলে। তাকে মৃত মনে করে বস্তাবন্দী করে রাত ১টার দিকে রশিদ নগর নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে নির্জন জায়গায় ফেলে দেয়৷ এসময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেললে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বস্তা খুলে তাকে উদ্ধার করে। প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে৷ বর্তমানে আলী হোসেনের অবস্থা গুরুতর আশংকাজনক।

স্থানীয় লোকজন জানান
নাছিমা আক্তারে মা হুমাইরা বেগম একজন মাদক ব্যবসায়ী। এলাকার মাদক সেবনকারী ও কিশোর গ্যাংদের সাথে নিয়ে মাদকের বিনিময়ে তারা নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল গিয়াস জানান,এ ঘটনার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।