এস এম জুবাইদ, পেকুয়া:

রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটং ইউপির নির্বাচন।
এখন সর্বমহলে জল্পনা কল্পনা চলছে কে হচ্ছেন এ ইউনিয়নের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত অভিভাবক।
২০ সেপ্টেম্বর উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহু আলোচিত ও সমালোচিত টইটং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে রয়েছে ভোটারদের নানা আতংক। আসলে ভোটাররা কি যথাযথ ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাযায়, চেয়ারম্যান পদে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিন্দ্বিতা করলেও প্রচার প্রচারনায় রয়েছে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে মুল লড়ায় হবে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও চাল চুরি অভিযোগে বহিস্কৃত সাবেক চেয়ারম্যান এবং টইটং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা মার্কার প্রার্থী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোসলেম উদ্দিনের সাথে হাড়াহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা। তবে এ নির্বাচনকে ঘিরে রয়েছে নানা আতংক। এ নির্বাচনী মাঠে সরগরম করে তুলেছে এই দুই প্রার্থী। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার পর থেকে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার এবং সংরক্ষিত আসনের
মহিলা মেম্বার প্রার্থীরা। তারা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে ভোট প্রার্থনাসহ গণসংযোগে ব্যস্তসময় পার করছিল এ পর্যন্ত। উভয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দলগত ভাবে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পথসভা করে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ভোট রায় প্রত্যাশার জন্য নানা ওয়াদা করেছিলেন। সকল প্রচারপ্রচারণা বন্ধ হয়। কেউ বলে নৌকার জয়জয়কার ধ্বনি আবার কেউ কেউ বলে চশমা মার্কার জয়জয়কার ধ্বনি। তবে জরিপে দেখা যায় দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীর সমালোচনা করলেও শেষ পর্যন্ত কে হবে বিজয়ী ২০ তাং রাত ৮ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।

এদিকে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানায়, টইটং ইউপির নির্বাচনে মোট ৯ টি ভোট কেন্দ্র। ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৮ হাজার ৬১২ জন। প্রত্যক ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ৪ জন ম্যাজিষ্ট্রেষ্টের নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার বিডিপি, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসার পাঠানো হয়েছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠ করার জন্য এবং কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ২ প্লাটন বিজিবি ও নির্বাচনী এলাকায় র‍্যাবের ৩ টি টিম টহল জোরধার করবে।
তথ্যসূত্রে নির্বাচন কমিশন কতৃক ঘোষিত ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহু আলোচিত ও সমালোচিত টইটং ইউপির নির্বাচন। এ নির্বাচনে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে বহিস্কৃত চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি লড়ছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। তাঁর মনোনয়ন পাওয়ার আগেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা বললেও সব উল্টেপাল্টে গেল তাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর। এরপরই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে নামেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. শহিদুল্লাহ বিএ।
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের একদিন আগে তিনি দলীয় হাইকমান্ডের নিদের্শে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী কে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। ফলে দুই প্রার্থীর লড়াই হবে এবার।

এদিকে সারাদেশে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে বলে একক প্রার্থী নিয়েই টৈটং ইউপি নির্বাচনে থাকছে বিএনপি। ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁরা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোসলেম উদ্দিনকে প্রার্থী করেছেন।
এ ছাড়াও এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর স্ত্রী শামিমা নাছরিন সায়মা (টেলিফোন),ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন (আনারস), ইসলামী আন্দোলনের সাহাব উদ্দিন (হাতপাখা), ডিস ব্যবসায়ী নুরুল আমিন ( মোটরসাইকেল)।
আর মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২ জনের বিপরীতে ৫৪ জন প্রার্থী।

এ দিকে উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে এক বিফ্রিং করে তিনি জানান আমরা এ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভাবে নেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো। ইতিমধ্যে নির্বাচনে ভোট গ্রহনের জন্য আমরা ব্যালেট পেপার ছাড়া সব সরঞ্জামসহ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন ৪ প্লাটুন র‍্যাব, ৪ প্লাটুন বিজিবি,জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ জন,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩জন,আনসার সদস্য ১৩৫জন। প্রতিকেন্দ্রে পুলিশ ৬জন করে দায়িত্বে থাকবে। আনসার থাকবে ১৫জন করে। ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্র ১,২,৭ ও ৯। মোট ভোটার সংখ্যা ১৮হাজার ৬শত ১২ জন। এছাড়া দায়িত্বে থাকবেন পেকুয়ার ইউএনও,এসিল্যান্ড ও অফিসার ইনচার্জ।