মোঃ ফারুক, পেকুয়া:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে টইটং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।

ওই দিন ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জোরদার করা হয়েছে ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে নির্বাচনী দায়িত্বে কর্মরত থাকা ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অতিরিক্ত প্রশাসনিক বলয়ের মধ্যে বহু প্রত্যাশিত টইটং ইউপি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের আশা করছেন স্থানীয় জনগণ।

তবে নির্বাচনের একদিন আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপি সমর্থিত চশমা প্রতিকের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন কর্তৃক সরবরাহকৃত দুই শতাধিক লাঠি পুলিশের হাতে জব্দ হয়েছে। নাপিতখালী কেন্দ্রে লাঠি বহনের ঘটনায় জড়িত চশমার দুই সমর্থক পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

এদিকে রবিবার বিকেলে পেকুয়ার টৈটংয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ইরাফন উদ্দিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন অবাদ সুষ্ঠু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত থাকবে ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট। ১ জন থাকবেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ৪প্লাটুন র‌্যাব, ৪প্লাটুন বিজিবিসহ প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের জন্য ৬ জন থাকবেন পুলিশ সদস্য। এ ছাড়াও প্রতি কেন্দ্রের জন্য ১৫ জন করে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, টইটং ইউপি নির্বাচনে এবারের ভোটার ১৮,৬১২ জন। চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭ জন। তার মধ্যে আ’লীগের বিদ্রোহ প্রার্থী শহিদুল্লাহ ভোটের ৭দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ও চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিনের মধ্যে। ইতোমধ্যে নৌকার পক্ষে সাধারণ জনগণ, দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিএনপি-জামাতের একটি অংশ নৌকার পক্ষে সরাসরি অংশগ্রহণ করছেন। যার কারণে মাঠে শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করেছেন নৌকার প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।

অপর দিকে সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোসলেম উদ্দিনের পক্ষে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির বড় একটি অংশ ভোটযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করায় তিনিও মাঠে শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করেছেন। তবে এক নারীর সাথে অশ্লীল কথোপকতনের অডিও ভাইরাল হওয়ার পর বেশ বেকাদায় রয়েছেন। এছাড়াও বিগত সময়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় ডাকাত-সন্ত্রাসের কারণে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ জনগণ। তা নির্মূল করেন জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।

কিছু স্থানীয় বাসিন্দা নির্বাচনে সহিসংতার আশঙ্খা করে বলেন, বেশিরভাগ মেম্বার প্রার্থী তাদের স্থানীয় প্রভাব দেখাতে গিয়ে সহিসংতার মত ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।