আব্দুস সালাম, টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফে ফার্মেসী ও ঔষধ কোম্পানীর সেলসম্যানের আড়ালে মাদক কারবার চলছে।
টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা ক্রেতা সেজে পৃথক অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন ফার্মেসী ও সাবরাং পানছড়ি এলাকার বসত-বাড়ি থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন পপুলার ফার্মেসী ও সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি পাড়া এলাকার নিজ বসত বাড়ি থেকে ইয়াবাসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার আটককৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন, উখিয়ার চাকবৈঠা এলাকার আলী আহমদের ছেলে মো. সালাউদ্দিন, একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইউনুস, সাবরাং পানছড়ি পাড়ার বশির আহমদের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম। এই অভিযানে আত্মসমর্পণকারী সাবরাং লেজির পাড়া এলাকার মোঃ ইদ্রিসের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম ও উখিয়ার চাকবৈঠা পাড়ার নুরুল হকের ছেলে টেকনাফ উখিয়া-টেকনাফ ফার্মাসিউটিক্যাল এস্যোসিয়েসনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ঔষধ কোম্পানী ইউরো ফার্মার এরিয়া ম্যানেজার ) এবং উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য আবুল ইসলামকে পলাতক আসামী করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মোঃ সিরাজুল মোস্তফা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মোঃ সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে টেকনাফ পৌরসভার হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন পপুলার ফার্মেসী থেকে ও সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি পাড়ার বসত-বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে
৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় তিন মাদক কারবারীকেও আটক করা হয়। উক্ত অভিযান চলাকালীন সময়ে দুই মাদক কারবারী পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান,উদ্ধার ইয়াবাসহ আটক তিন মাদক কারবারিকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করে মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়াও গ্রামের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে যৌথ অভিযান চালালে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হনে বলে তিনি জানান।