মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় অবশেষে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে মামলা করেন ঐ ছাত্রীর পিতা। এ ঘটনায় পুলিশ জনতার সহযোগীতায় কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে আটক করেছেন। তারা হলেন রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার নতুন মিয়াজি পাড়ার হাজি গফুরের ছেলে তামিম,ইসমাইলের ছেলে রিহম উল্লাহ রিপন,খুরশেদ আলমের ছেলে মোঃ নবী একই ইউপির মৌলভী কাটার নুরুল কবিরের ছেলে শামশুউদ্দিন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হাশেম প্রকাশ কালু জানান ঐ দিন দুপুর ২ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের পূর্ববিছামারা নুুুরুল হাকিমের ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের পড়ুুয়া মেয়ে তাজনিন আক্তার (১৭) নিজ প্রতিষ্টান সরকারী হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজ থেকে ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরছিলেন টমটম গাড়ি যোগে। এ সময় পার্শ্ববর্তী কচ্ছপিয়া ইউপির নতুন মিয়াজি পাড়ার হাজি আবদুল গফুর মিয়াজির ছেলে তামিম মিয়াজির নেতৃতে ৩/৪ জন যুবক তার পিছু নেয়। তারাও অপর একটি টমটমে করে
তাজনিনকে তাড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রীটি তার নিজ গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়ে এক প্রতিবেশির বাড়িতে যায়। বাড়ির দরজায় তালামারা দেখে দৌঁড়ে অপর বাড়িতে আশ্রয় নিতে যাওয়ার পথে বখাটে তামিম মিয়াজি তাকে ঝাপড়ে ধরে টেনে নিয়ে আসে। শুরু হয় আর্তনাদ আর চিৎকার। কালুু মিয়া আরো জানান,চিৎকার শুনে সে নিজেও এগিয়ে আসে। উদ্ধার করে মেয়েটিকে। তাকে ধৃত করে ফেলে সে। কিন্ত বিধি বাম। এরই মাঝে তার অপেক্ষামান বন্ধুদের ফোনের কারণে আরো ১০/১২ জন বখাটে যুবক রাম দা,ছুরি নিয়ে চলে আসে গয়াল খামার এলাকায়। সৃষ্টি হয় এক অরাজকতার। পুরো গ্রামে তখন আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা তাকে মারতে দৌড়াতে থাকে, যেন ফিল্মস্টাইল। অল্পের জন্যে সে বেঁচে যায়। গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে মেয়েটি এবং কালু উদ্ধার হয়। এসময় জনতার হাতে ওই ৪ বখাটেকে ধরে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের থানা হেফাজতে নেন। ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, থানায় আটক ৪ জনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
ছাত্রী অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় আটক কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য জেলে
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
