গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একাধিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে ‘গোমাতলীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলীতে গোলাম কাদের (৪৫) হামলার ঘটনায় শত্রুতা বশত হামলাকারী হিসেবে আমাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

কারণ, আমার লীজ নেয়া চিংড়ি ঘের দখলে ব্যর্থ হয়ে গত ২৩ আগষ্ট আমি, আমার বাবা কামাল পাশাসহ আমার দুই চাচাকে হামলা করেছে উত্তর গোমাতলীকে লুটকারি সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মিয়া ও আবদু সালাম গং। তাদের হামলায় আমার বাবার বাম হাত ও বাম পা কয়েক জায়গায় ভেঙেছে। আমার ছোট চাচাও রক্তাক্ত জখম। আমি ও আমার আরেক চাচা ফোলা জখম হয়ে চিকিৎসাধীন। এখনো বাবা হাসপাতালে, ওনার হাত-পায়ে অপারেশন করে লোহার পাত লাগানো হয়েছে। ওনাকে নিয়ে আমরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালেই পড়ে আছি। সিরাজ মিয়া ও আবদু সালাম গংয়ের দেয়া হত্যার হুমকিতে আমরা ২৪ আগস্ট হতে পুরো পরিবার এলাকা ছাড়া। তারা আমার ঘের দখলে নিয়ে মাছ ধরে ফেলেছে। ঘরে ভাংচুর চালিয়েছে। যেখানে আমরা এলাকাতেই নেই সেখানে আমি গোলাম কাদেরকে হামলা করবো কিভাবে.?

এছাড়া- আহত গোলাম কাদের আমার সেজ ফুফা। আমি আমার ঘরের মানুষটাকে কেন হামলা করবো.?

মূল বিষয় হলো, আমরা এলাকা ছাড়া হলেও আমার মামা হারুন আমার লীজ নেয়া ঘেরের লুটপাট দেখতে গিয়েছিল। এসময় সিরাজ ও আবদু সালাম গং ওনাকে দেখতে পাইনি। কিন্তু পরে খবর শুনেছে। এতে ক্ষিপ্ত হব সিরাজ মিয়া ও আবদু সালাম গং। তারা আবছার মেম্বারের জানাজা শেষ করে আমার মামাকে ধরতে পশ্চিম গোমাতলী বাজারের দিকে আসছিল। মামা হারুনও জানাজা পড়ে বাড়ি ফিরছিল। সিরাজ মিয়া ও আবদু সালামের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন আমার মামার ওপর চড়াও হচ্ছে দেখে আমার ফুফা গোলাম কাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তখন সিরাজ মিয়া ও আবদু সালাম গং ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাম কাদেরকে প্রহার শুরু করে। আমার নানা বাড়ির অন্য লোকজন এগিয়ে এলে আমার মামা হারুন আক্রমণের হাত হতে রক্ষা পায়। তখনো আমি বাবার সাথে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে।

এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উল্টো হামলার ঘটনাটি আমার মামা, আমি ও অন্যদের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার ফুফা গোলাম কাদের উত্তর গোমাতলীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারি সিরাজ মিয়ার ভাতিজা ও আবদু সালামের ভাই। গোলাম কাদেরের পরিবারকেও এলাকা ছাড়া করার হুমকিতে গোলাম কাদের আহত হবার ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পায়তারা চালানো হচ্ছে। আমাদের বিষয়টি যে কেউ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সত্যতা পাবে।

তাই প্রকাশিত সংবাদে আমাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হতে প্রশাসনসহ সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সিরাজ মিয়া ও আবদু সালামের অপরাধ কর্মের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে এলাকার শান্তি শৃংখলা ফেরাতে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আকুল নিবেদন।

প্রতিবাদকারি-
তাজনোভা কামাল আবদুল্লাহ
উত্তর গোমাতলী, পোকখালী, ঈদগাঁও, কক্সবাজার।