ইমাম খাইর, সিবিএন:

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা খরুলিয়া বাজার এলাকার ‘মেহেরাব-মীম স্টেশনারী এন্ড কুলিং কর্ণারের’ টিনের চাল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ টাকাসহ অনেক মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে।

বাজারে ৪ জন পাহারাদার থাকলেও তাদের রহস্যজনক নিরবতাকে দায়ী করছে স্থানীয়রা।

দোকানদার মো. রবিউল করিম জানিয়েছেন, রাতে দোকান বন্ধ তিনি বাড়ি চলে যান। সকালে এসে দেখেন চাল কাটা। ক্যাশ বক্সের তালা ভাঙ্গা। বিক্রির অন্তত ১০ হাজার টাকা ছিল। নগদ টাকাসহ অনেক মালামাল নিয়ে গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঝিলংজা ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শরিফ উদ্দিন। তিনি জানান, হঠাৎ এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। গত ২/৩ মাসে অন্তত ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আসহাব উদ্দিনের বিকাশ ও কম্পিউটারের দোকান, গিয়াস উদ্দিনের মুদির দোকান, আবদুল্লাহর চাউলের দোকান ও ভুট্টুর ফার্মেসিতে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। হঠাৎ চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী আতংকে রয়েছে।

চোরের সন্ধানে নগদ দশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছেন মেম্বার শরিফ উদ্দিন। তিনি জানান, তথ্যদাতার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। প্রয়োজনে- ০১৮১৯-৩৫২১২২।

খরুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী নেতা নুরুল আজিম সওদাগর জানান, চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন।

বাজারের নিরাপত্তায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন স্তরের লোকজন। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন।

রহমান শেখ নামের এক ব্যক্তি জানান, খরুলিয়ায় টিন কেটে দোকান লুট করা নতুন কিছু নয়। আজিমের দোকান, জনির কম্পিউটারের দোকান, এরশাদের দোকানসহ অনেক দোকানে চুরি ও মালামাল লুট হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত বাজারে ৪ জন পাহারাদার থেকেও একজন চোরও ধরা খেলোনা।

কামাল উদ্দিন নামের একজন ব্যক্তি লিখেন, চুরি-চামারি তো খরুলিয়া বাজারের নিত্যদিনের ঘটনা। তা কেমনে দমন হবে?

আসাদ বিন ইসলাম দুঃখের সাথে জানিয়েছেন, খরুলিয়া তে খুন, চোর- এটা নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ ফয়সাল জানান, প্রায় সময় খরুলিয়া বাজারে চুরির ঘটনা শোনা যায়। কিছু দিন আগে স্কুলের ২টি টিউবওয়েল চুরি হয়েছে।

তিনি জানান, চুরি হওয়া দোকানের সামনে প্রতিদিন গভীর রাতে টমটম, সিএনজি দাঁড়ায়। হয়তো একটু সময় দিলে চোর ধরা যাবে।