মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) :
বাঁশখালীর জলদী দারুল কারীম মাদরাসার হিফজ সমাপনী ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান উপলক্ষে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান ওয়ায়েজ হিসেবে আলোচনা পেশ করেন আলোচিত ও সাড়া জাগানো ধর্মীয় বক্তা আল্লামা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী (কুয়াকাটা হুজুর)।
মাদরাসার পরিচালক সাংবাদিক মাওলানা শফকত হোসাইন চাটগামীর সঞ্চালনায় মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী। মুহাদ্দিস মাওলানা আহমদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে বয়ান পেশ করেন, চট্টগ্রাম নাছিরাবাদ বড় মসজিদের খতীব মাওলানা শাহ নুর মোহাম্মদ, কোরআন শিক্ষা বোর্ডের কুমিল্লা জেলা সভাপতি মাওলানা রাশেদুল ইসলাম রহমতপুরী, জিরি মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ খুবাইব, পতেঙ্গা ফুলছড়িপাড়া জামে মসজিদের খতীব মাওলানা খালেদুর রহমান, মনচিকর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনিসুর রহমান, পটিয়া আজিমপুর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা সাইফুদ্দীন দৌলতপুরী প্রমুখ।
এদিকে রাত ১০ টায় হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার পর সব সংবাদকর্মীদের লাইভ ও ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে বাঁধা দেন তিনি। এক পর্যায়ে মাহফিলে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সবাইকে মোবাইল বন্ধ রাখতে বলা হয়। মোবাইলে লাইভ দেখানো ও বাঁধা দেওয়া নিয়ে এসময় টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ সময় হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটা বলেন, ‘ইউটিউবাররা ভিডিও করে একরকম, প্রচার করে আরেক রকম। ভিউয়ার বাড়ানোর জন্য ট্রল করে প্রচার করে। তাই সবাই মোবাইল বন্ধ করে পকেটে ঢুকান।’
মাহফিলে আলোচনা কালে আল্লামা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী (কুয়াকাটা হুজুর) বলেন, ‘উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য পরীক্ষায় যেমন সব বিষয়ে পাস করতে হবে। ঠিক তেমনি ইসলামের ফরজ, সুন্নত, নফলসহ সব বিষয়ে পাস করতে হবে। তাহলেই পরকালে জান্নাতে যাওয়া সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাসুলের যুগের ইসলামের শত্রুরাই বড় শত্রু। কিন্তু রাসুল তাদের কাউকে আঘাত করেননি, গালি দেননি। তাহলে রাসুলের দুশমন উল্লেখ করে এখন এক মুমিন আরেক মুমিনকে কেমনে গালি দেয়! তিনি সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে এক নবীর উম্মত হিসেবে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা ও রাসুলের আদর্শ অনুস্বরণের আহবান জানান।
রাত ১১ টার দিকে করোনা ভাইরাস মহামারী থেকে মুক্তি এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল শেষ হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে মাদরাসার ৮ জন ছাত্র ছাত্রী হিফজ সম্পন্ন করেন। রবিবার তাদের পাগড়ি প্রদান করা হয়। এর আগে গত জানুয়ারীতে এই মাদরাসার ১২ জন ছাত্র হিফজ সম্পন্ন করেছিলেন। হেফাজতের প্রয়াত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ.) তাদের পাগড়ি প্রদান করেছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।