চকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের প্যাড, সিল ও স্বাক্ষর জাল করে সাতজন জীবিত মানুষের নামে মৃত্যুসনদ তৈরির অভিযোগ মিলেছে। এ বিষয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জালিয়াতি ও প্রতারকচক্রের ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম।
চেয়ারম্যানের অভিযোগ- ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড, সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া মৃত্যু সনদ তৈরির মাধ্যমে সাতজনকে এতিম দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাত করেছে চক্রটি। এই চক্রের ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে দায়েরকৃত মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কক্সবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন পূর্ব সুরাজপুর গ্রামের রব্বত আলীর ছেলে নুরুল কাদের, মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে আজিজ উল্লাহ, আশেক আহমদের ছেলে আবদুর রাজ্জাক, ওসমান গণির ছেলে জাফর আলম, আবুল হোসেনের ছেলে হারুণুর রশিদ, আকতার আহমদের ছেলে মো. ইদ্রিস, দক্ষিণ সুরাজপুরের মো. কাইছারের ছেলে ও পৌরশহরের ডিজিটাল সাইন কম্পিউটার সেন্টারের মালিক আবদুল্লাহ রায়হান, মানিকপুর গ্রামের আবদুছ ছালাম খলিফার ছেলে রুস্তম শাহরিয়ার, পূর্ব ভিলেজার পাড়ার মোক্তার আহমদের ছেলে মো. আইয়ুব ও মাহবুবুল আলমের ছেলে মো. রুবেল।
বাদীপক্ষের আইনজীবী দিদারুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে সুরাজরপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের করা মামলাটি আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আমলে নিয়েছেন। এ সময় আদালত এই বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে সিআইডি, কক্সবাজারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী রুুস্তম শাহরিয়ারসহ স্থানীয়ভাবে একটি জালিয়াতচক্র মিলেমিশে পরিষদের প্যাড, সিল ও আমার স্বাক্ষর জাল করে সাতজন জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া মৃত্যুসনদ তৈরি করে। ডিজিটাল ডিভাইসে তৈরি করা এসব সনদের কোন অস্তিত্ব নেই ইউনিয়ন পরিষদের বালামে। সেই ভুয়া সনদ ব্যবহার করে তাদের সন্তানদের সুরাজপুর ইসলামিয়া হেফজখানা ও এতিমখানায় ভর্তি দেখিয়ে কয়েকবছর ধরে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাত করে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই মাদরাসার আমি সদস্যও নই। বিষয়টি নজরে আসার পর আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’