সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সাহিত্য সভায় বক্তাগণ বলেন, প্রফেসর মোশতাক আহমদ নিজের মেধার প্রতি অবিচার করেছেন। আল্লাহ তাঁকে যে মেধা দিয়েছেন তা তিনি যথাযথভাবে কাজে লাগান নি। যদি তিনি তার মেধাকে কাজে লাগাতেন তাহলে কক্সবাজারবাসীসহ দেশবাসী আরো উপকৃত হতো, তার কাছ থেকে আরো সেবা পেতো।
বক্তাগণ একই সাথে বলেন, কক্সবাজার জেলাবাসী প্রফেসর মোশতাক আহমদকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেননি। এই দুঃখটা প্রফেসর মোশতাক আহমদের মনে থাকতেই পারে।
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর ৪৭৩তম পাক্ষিক সাহিত্য সভায় বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবী রামু কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, একাডেমীর উপদেষ্ঠা অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশতাক আহমদের জীবন ও কর্ম নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ আরো বলেন, প্রফেসর মোশতাক আহমদ বিভিন্ন সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন, পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে চাকুরি করেছেন। কিন্তু কোথায়ও মন বসেনি। শেষ পর্যন্ত নিজের নাড়িকাটা মাতৃভূমিতে থিতু হয়েছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন কক্সবাজার কলেজ, রামু কলেজ। এসব কলেজে নিজের মেধা দিয়ে অনেক বিদগ্ধ আলোকিত মানুষ তৈরি করেছেন।
একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক গল্পকার সোহেল ইকবালের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য পেশ করেন একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের সদস্য ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, প্রফেসর মোশতাক আহমদের অন্যতম সহচর অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, একাডেমীর সহ-সভাপতি, কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার ছড়াকার মো. নাছির উদ্দিন, একাডেমীর জীবন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা মোর্শেদা আইভী, একামেডীর নির্বাহী সদস্য ছড়াকার নূরুল আলম হেলালী, আবৃতিকার কল্লোল দে চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য ও উত্তর নুনিয়াছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস ফোরকানা বেগম জোসনা (জোসনা ইকবাল), একাডেমীর জীবন সদস্য মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ ও কক্সবাজার কেন্দ্রীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস নূরুননাহার বেগম।
পরে কবিতা আবৃতি করেন অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, মো. নাছির উদ্দিন, সোহেল ইকবাল, নূরুল আলম হেলালী, কল্লোল দে চৌধুরী ও ফোরকানা বেগম জোসনা।