নুরুল আমিন হেলালী:

সারা দেশের ন্যায় পরিস্থিতি বিবেচনা করে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও সরকার নির্ধারিত ১২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
নির্দিষ্ট দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে কক্সবাজারেও প্রতিটি শিক্ষালয়ে চলছে জোর প্রস্তুতি। গত কয়েকদিন ধরে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ ধুলোমাখা বোর্ড ও বেঞ্চ ধোঁয়ামোছার কাজ করছেন স্বীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এমনটি জানালেন কয়েকজন প্রধান শিক্ষক।
কয়েকটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা ঘুরে ও খবর নিয়ে জানা যায়,নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে জোরেশোরেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি সম্পর্কে ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল হক জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শিক্ষার্থীদের সাথেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।
এছাড়া শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি এই প্রতিবেদককে অবহিত করেন।
কক্সবাজার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে ধোঁয়ামোছার কাজ চলছে জোরেশোরে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে বেঞ্চ, বোর্ড ও আঙ্গিনাগোলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
অপরদিকে দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় খুশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ঈদগাঁও উপজেলার সচিব নুরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যেই শিক্ষাবোর্ড থেকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সাপ্তাহিক রুটিন দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী শিক্ষা-কার্যক্রম চলবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে আসছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা-কার্যক্রম চালাতে কোন সমস্যা হবেনা বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য গত রবিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি করোনার কারনে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর ১২ সেপ্টেম্বর সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন।