পেকুয়া সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় কর্মরত সাংবাদিক দৈনিক সাঙ্গু ও দৈনিক কক্সাবাজারের পেকুয়া প্রতিনিধি মুহাম্মদ হাসেম এর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া দুই ছেলে,স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেকুয়ার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় কলেজ গেইট চৌমুহনী মোড়ে এ মানববন্ধন হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা মানববন্ধনে অংশ নেয়।

 

মানববন্ধন পরবর্তী প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি পুলিশ বাদি ও মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম এর ছোট ভাই জুনাইদ ইসরাক চৌধুরী বাবু বাদি হয়ে থানায় দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে। দুইটি মামলায় সাংবাদিক হাসেমের দুই ছেলে আরিফ ও আরমানকে আসামি করে। পুলিশ বাদি মামলায় তার স্ত্রী নাছিমা আক্তারকে আসামি করে। সাংবাদিক হাসেম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লেখালেখা করেছে। তার লেখনি স্তব্দ করতে পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সুষ্টু, নিরপেক্ষ তদন্ত করে মামলা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের জন্য বক্তারা জোরালো দাবী জানিয়েছেন।

 

বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিক পরিবারে মামলা দেওয়ায় আজ সাংবাদিক সমাজ আতংকিত, শংকিত। এটি সাংবাদিকদের জন্য অশনি সংকেত। মামলা হামলা দিয়ে সাংবাদিকের লেখনি বন্ধ করা যাবেনা। যেখানে অন্যায়,অবিচার হবে সেখানে সাংবাদিকের কলম চলবেই। আমরা পুলিশ হয়রানি বন্ধের জোর দাবী জানাচ্ছি।

 

 

জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট সকালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মমতাজুল ইসলামের চিংড়িঘের থেকে মাছ লুটের ঘটনায় মগনামায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ওয়াসিম চেয়ারম্যানের ছোট ভাই এনায়েত উল্লাহ ও মামাতো ভাই আরাফাত উদ্দিনকে পিটিয়ে জখম করে। পুলিশ জড়িতদের ধরতে মুহুরীপাড়া গ্রামে অভিযানে যান। এ সময় পুলিশের সাথে চেয়ারম্যানের অনুসারী লোকজন যোগ দিলে গ্রামবাসির সাথে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারী কাজে বাঁধা ও আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে পুলিশ বাদি হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাংবাদিক হাসেমের পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আসামি করে। চেয়ারম্যানের ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনায় ১৪জনকে আসামি করে আরো একটি মামলা হয়। এ মামলায়ও দুই ছেলেকে আসামি করে।

 

এ ব্যাপারে সাংবাদিক মুহাম্মদ হাসেম বলেন, দুইটি মামলায় আমার পরিবারের পাঁচজনকে আসামি করেছে। ছেলেরা থাকে চট্টগ্রাম শহরে। দুই জনেই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। ঘটনার সময় তারা শহরে ছিল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছি বলে আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটা চরম অবিচার।

 

পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানায়, আসলে ঘটনার দিন আমি অসুস্থ ছিলাম। ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলে তদন্তের মাধ্যমে চার্জশীট থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে।