নিজস্ব প্রতিবেদক :
অতিমারী করোনায় কর্ম হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার দরিদ্র ২০ হাজার পরিবারকে নগদ ২৫০০ টাকা করে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (ডব্লিউএফপি)। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকাল থেকে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
হোস্ট কমিউনিটির জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর পক্ষ থেকে পাওয়া এই বিশেষ সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন এবং এসএআরপিভির বাস্তবায়নে নগদ অর্থ বিতরণের প্রথমদিনে পৌরসভার একটি ওয়ার্ড এবং উপজেলার হারবাং ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে এই বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে চকরিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ৫১৯ পরিবার, হারবাং ইউনিয়নের ৮৪০ পরিবার এবং লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৫০৬ পরিবারকে নগদ ২৫০০ টাকা তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসএআরপিভির কক্সবাজারের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত, এসএআরপিভির সুপারভাইজার যথাক্রমে ইয়াছমিন সুলতানা, আবদুল মালেক, জিয়াউর রহমান, নুসরাত জাহান, মিঠুন কান্তি চৌধুরী, আবদুর রহমান। পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মছুদুল হক মধূ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাশেদা বেগম, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, হারবাং ইউনিয়নে স্থানীয় চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান।
এসএআরপিভির কক্সবাজারের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাকসুদুল আলম মুহিত জানান, গতবারের মতো এবারও করোনার কর্মহারা প্রকৃত দরিদ্র পরিবারগুলোকে যাচাই-বাছাই করার পর নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর সহায়তায়। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মাঠপর্যায় থেকে অতিদরিদ্র পরিবারের তালিকা প্রাপ্তির পর উপজেলা প্রশাসনের প্রেরিত তালিকার ভিত্তিতেই এই সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।’
এসএআরপিভি কর্মকর্তা আরও জানান, এবার পৌরসভা এবং চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবারকে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) থেকে এই অর্থ সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার বাকী ওয়ার্ড এবং সকল ইউনিয়নে এই নগদ অর্থ সহায়তা হাতে পেয়ে যাবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, ‘করোনাকালীন সরকারিভাবে নানাভাবে সহায়তার পাশাপাশি বিশ্ব খাদ্য সংস্থার এই নগদ অর্থ সহায়তা যাতে সকল শ্রেণী-পেশার পরিবারগুলো পায় সেজন্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’