সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
পরিবার থেকে হারিয়ে গেছে প্রিয় মানুষটি। এরপর চলে গেছে অনেক বছর। তারা জীবিত না মৃত তা জানা নেই। আর কোনো দিন ঘরে ফিরবে কিনা তাও কেউ জানে না। এমন বাস্তবতার মধ্যে কক্সবাজারেও পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস।

আজ ৩০ আগস্ট কক্সবাজার শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ সহ গুমের শিকার হওয়া সকল নাগরিকদের অবিলম্বে তাদের স্বজনের কাছে ফেরত দেওয়ার দাবিতে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি অনুষ্টিত হয়েছে।

দেশে গুম-অপহরণের শিকার হওয়া মানুষগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ১৪ বছরে (২০০৭-২০২১) দেশে অপহরণের শিকার হয়েছেন ৬১৪ জন। পরবর্তী সময়ে এদের মধ্যে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফিরে এসেছেন ৫৭ জন। পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে ১১ জন। ডিবি পুলিশ অফিসে পাওয়া গেছে ৪ জন। র‌্যাব কর্তৃক ৭ জন আটকের কথা জানা যায়। গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৬৭ জনকে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) প্রতিবছর গুম-অপহরণের তালিকা প্রস্তুত করে। গত দুই বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আগের বছরগুলোর তুলনায় গুম ও অপহরণের সংখ্যা বেশ কম।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনাব ফাহিমুর রহমান বলেন, ‘গুম হচ্ছে একদলীয় ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের নমুনা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ। বাংলাদেশে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বিরোধী দল ও মত শূন্য একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই গুমকে পথের কাঁটা দূর করার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একের পর এক মানবতাবিরোধী অপরাধ করে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নৃশংস গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, সুমন, জাকির, মুন্নাসহ অসংখ্য মানুষ। আরেকটি অভিনব গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তাঁকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয়েছে অন্য দেশে।’

জেলা ছাত্রদল কর্তৃক আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অত্র সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা গুম হওয়া ব্যক্তিদের অবিলম্বে সন্ধান দেওয়া ও তাদেরকে স্বজনের কাছে অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।