প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীতে কক্সবাজার জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ও রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল এর উদ্যোগে এমপাওয়ার সোশ্যাল, সিসিডিবি ও ইপসা এর সহযোগিতায় ‘ইয়েস একটিভি প্রোগ্রাম’ এর একটি কর্মসূচি হিসেবে আয়োজিত ওয়েবিনারটি গত ৩১ জুলাই বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়।

কোভিড-১৯ মহামারী বিষয়ে ধারনার বিকাশ এবং এই সংক্রান্ত জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা দূর করার প্রয়োজনীয়তার উপরে বক্তারা আলোকপাত করেন।

আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটিতে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডাঃ পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য্য, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ছালেহ উদ্দীন চৌধুরী, ঢাকা বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় পরিচালক ড. ‍আব্দুল বাকি এবং কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন) এর বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন এমপাওয়ার সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ডিরেক্টর অব ইনোভেশন জাকি হায়দার।

করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত, যার দরুন বাংলাদেশও খুব কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। করোনার প্রাদুর্ভাবে কক্সবাজারের বিপুল সংখ্যক জনগণ এর ভয়াবহ পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে। ইউএসএআইডির ইয়েস এক্টিভিটি প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধায়নে কক্সবাজার জেলার চারটি উপজেলা – কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, ও টেকনাফ নিয়ে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা সাপেক্ষে একটি রিসার্চ করা হয়।

উক্ত রিসার্চের প্রাপ্ত বিভিন্ন উপাত্ত উপস্থাপন করেন এমপাওয়ার সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ইয়েস এক্টিভিটি প্রোগ্রামের ফিল্ড ম্যানেজার অনুপ কুমার পাল।

আলোচনায় কক্সবাজার জেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক ডাঃ পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য্য বলেন যে, “আমার মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা, প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা দিবে”, তিনি আরও বলেছেন যে, তার জেলাতে করোনা দুর্যোগের মধ্যে গর্ভনিরোধক গ্রহণের হার বা কন্ট্রাসেপটিভ এক্সেপ্টেন্স রেট কমেনি বরং বেড়েছে। করোনা মোকাবেলায় তিনি তরুনদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

করোনাকালীন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সাথে সম্পৃক্ত রাখার কার্যক্রম সম্পর্কে বলতে গিয়ে মোঃ ছালেহ উদ্দীন চৌধুরী, (জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, কক্সবাজার) বলেন, “শিক্ষকরা অন্তত ৩টা সৃজনশীল প্রশ্ন ও ২০ টা নৈব্যক্তিক প্রশ্ন ঠিক করে শিক্ষাথীদের দলনেতার কাছে পাঠায়, যেন শিক্ষাথীরা সেটা উত্তর করে দলনেতার মাধ্যমে শিক্ষকের কাছে পৌছায়।”

তিনি আরও বলেছেন, শতকরা প্রায় ৯৭ ভাগ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট নিয়মিত জমা দিচ্ছে। এছাড়াও প্রায় শতভাগ শিক্ষক করোনার টীকা নিয়েছেন।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও সামাজিক জনসচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেছেন ঢাকা বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় পরিচালক ড. ‍আব্দুল বাকি।

তিনি বলেন, “ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে, ভ্যাক্সিন নেয়ার আগে যদি করোনা হয় তাহলে যেভাবে প্রকোট ভাবে দেখা দিবে, ভ্যাক্সিন নেয়ার পর করোনা হলে সেটা মাইল্ড ফর্মে বা মৃদুভাবে দেখা দিবে।” তিনি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের থেকে প্রত্যাশা করেন, তারা যেন নিজ নিজ এলাকায় করোনা বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেন।”

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন) এর বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর বলেন, “করোনা সংক্রামনরোধে শুধু সরকার নয়, ব্যক্তি পর্যায় থেকেও এগিয়ে আসতে হবে, তাহলেই করোনা মোকাবিলা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য ১৪৫ বেড ছিল, সেগুলো কখনোই খালি ছিলনা, পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরও ৩৭ টি বেড যুক্ত করা হয়।

ওয়েবিনারে দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজারের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারগণ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার, এনজিও কর্মী ও সাংবাদিক।

ইউএসআইডির ইয়েস অ্যাক্টিভিটি প্রোগাম দীর্ঘদিন ধরেই কক্সবাজারের যুব সমাজের দক্ষতা ও উন্নয়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, যারই ধারাবাহিকতায় এই ওয়েবিনারের আয়োজন।