সিবিএন ডেস্ক:
পাহাড় কেটে আন্দিজ পর্বতের বুকে ফুটবল মাঠ। অবিশ্বাস্য লাগলেও ঘটণা সত্য। বিশ্বজুড়ে মেসি ভক্তের অভাব নেই। এই তো সেদিন বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্কচেদ করে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে পাড়ি জমানোর খবরে কেঁদেছিল সমর্থকেরা।

মেসির প্রতি ভালোবাসা একটুও কমেনি তাতে, বরং বেড়েছে। সেই ভালোবাসার বজিঃপ্রকাশ দেখতে হলে যেতে হবে আন্দিজ পর্বতমালায়। ফ্রান্সিসকো হাভিয়ের গার্দিওলা নামের এক ভক্ত পাহাডের বুকে তৈরি করেছেন এক মাঠ, যে মাঠের নাম দিয়েছেন ‘এস্তাদিও লিও মেসি’।

মেসির জন্মভূমি আর্জেন্টিনার রোজারিও থেকে আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত মোন্দজ শহরের দূরত্ব ১ হাজার কিলোমিটার। গার্দিওলা সেখানে আন্দিজ পর্বতমালার মধ্যে বানিয়েছেন মাঠটি।

যে মাঠে নেই ঘাস, নেই ফ্লাডলাইট। এমন কি মাঠের আয়তনও ফুটবল মাঠের নিয়ম অনুযায়ী ততটা নয়। মাঠের চারপাশে, ডি বক্সের দাগ, এমন কি মাপের ঠিক নেই গোলপোস্টেরও। কোনও কিছু ঠিক না থাকলেও একবুক ভালোবাসা তো রয়েছে গার্দিওলার!

এই মেসি ভক্ত হয়তো স্বপ্ন দেখেন এক দিন মেসি সেখানে খেলতে আসবেন, জ্বলে উঠবে ফ্লাড লাইট, মাটি ঠেলে মাথা তুলে দাঁড়াবে ঘাস। ঠিক হয়ে যাবে মাঠের আয়তন, গোলপোস্টের মাপও।

ফ্রান্সিসকো হাভিয়ের গার্দিওলার মেয়ে মাকা গার্দিওলা টুইট করেন মাঠের কয়েকটি ছবি। এরপরই সেটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

টুইটে মাকা গার্দিওলা লিখেছেন, ‘আন্দিজ পর্বতের মধ্যে আমার বাবা এই স্টেডিয়াম বানিয়েছেন। এই মাঠের নামকরণ করেছেন লিওনেল মেসির নামে। এটা আমার বাবার স্বপ্ন, সবাই এটা দেখে যান। আমি মনে করিউ, এটা মেসিকে দেয়া বার্সেলোনার সেরা উপহারের চেয়েও ভালো।’

মাকা গার্দিওলা তাঁর টুইটটি তিনজনকে ট্যাগ করেছেন। যারা ইবাই লানোস ও কোসকু এবং লিওনেল মেসি। লানোস ও কোসকু দুজন স্টিমার, এরা মেসির সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছিলেন বার্সা ছাড়ার আগের রাতে। যদিও মেসির যে আইডি ট্যাগ করা হয়েছে সেটি ভেরিফাইড নয়।

এই তো গেল মেয়ের বক্তব্য। মাকার বাবা হাভিয়ের গার্দিওলা বলেছেন, “আমার ছেলের বন্ধুদের নিয়ে আমি মাঠটি বানিয়েছি। পর্বতের মাঝে মাঠ বানানো কঠিন হলেও নামকরণটা ছিল অনেক সহজ। সেটি মেসি ছাড়া আর কে!”