মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহনকালে গত মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট আসামী প্রদীপ কুমার দাশ আদালতের বিরতি চলাকালে কাঠগড়ায় থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলার বিষয়ে প্রদীপ কুমার দাশ’কে কড়াভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ও পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, কাটগড়ায় থেকে আসামী প্রদীপ কুমার দাশ মোবাইলে কথা বলার ভাইরাল হওয়া ছবির বিষয়টি বুধবার ২৫ আগস্ট আদালত চলাকালে বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এর নজরে আনা হয়। বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি আসামী প্রদীপ কুমার দাশ থেকে তাৎক্ষণিক জানতে চান। প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং তার অপারধের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রাথর্না করেন। তখন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আদালতের অনুমতি ব্যতিরেখে ভবিষ্যতে এধরণের মোবাইল ফোনে কথা বলা সহ আদালতে যেকোন ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার ও বহন করা থেকে বিরত থাকতে আসামী প্রদীপ কুমার দাশকে কড়াভাবে সতর্ক করে দেন বলে জানান-পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম।

প্রসঙ্গত, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামী প্রদীপ কুমার দাশ আদালতের কাটগড়ায় থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যম ভাইরাল হয়। আদালতের কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে প্রদীপ কুমার দাশ মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছবিতে আশপাশে পুলিশ ও কয়েকজন ব্যক্তি দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপকে কথা বলার জন্য মোবাইলটি সরবরাহ করেছিলেন সেখানেই দায়িত্বরত এক পুলিশ কনস্টেবল।

এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।বুধবার ২৫ আগস্ট গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

তিনি জানিয়েছেন, এসটিআই শাহাব উদ্দিনসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান- পুলিশ সুপার।