মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
টিকা নিতে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে প্রতিদিন ভীড় করছে পাহাড়ি ও বাঙ্গালি লোকজন । বিশেষ করে গত ২ দিন ধরে হাসপাতালে শতশত লোক দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে এ টিকা গ্রহনে চেষ্টা করছেন তারা। এ পর্যায়ে অধিকাংশ লোক টিকা দিতে পারলেও-হতাশ হয়ে ফিরে গেছে অনেকেই। সরেজমিনে গিয়ে এ প্রতিবেদক এ অবস্থা দেখতে পান নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মঙ্গলবার টিকা নিতে আসা মংকিউ চিং চাক ও ক্যমরু ম্রো বলেন, তারা টিকা নিতে এসেছিলেন আমতলীঝিরি পাড়া ও বাইশারী চাক পাড়া থেকে থেকে। হাসপাতাল থেকে তাদের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার । তারা দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে সন্ধ্যা নাগাদ সময় লাগবে। তারা টিকা দিতে পারলেও তাদের সাথে আসা অপর সদস্যরা টিকা না দিয়ে ফিরে গেছে বাড়িতে । আবারও টিকা দিতে উপজেলা সদরে আসা তাদের পক্ষে অসম্ভব। ফলে তাদের আর টিকা দেয়া দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বতর্মানে টিকা গ্রহনে দূর্গম পাহাড়ের লোকজনের চিত্র একই অবস্থা। এভাবে টিকা দিতে এসে ফিরে যাওয়া আবদুল্লাহ, ছগির আহমদ,কামাল আহমদ,চিংহ্লা মার্মা সহ অনেকে বলেন একই কথা।
এদিকে এ বিষয়ে হাসপাতাল প্রধান ডা: এজেডএম সেলিম বলেন, ঘটনা অনেকটা সত্য। সোমবার ও মঙ্গলবার হাসপাতালে প্রচন্ড ভীড় লক্ষ করা গেছে। প্রথম দিন প্রায় ৯ শত লোক টিকা নেন। দ্বিতীয় দিন প্রথম ২ ঘন্টায় ৩১২ জন টিকা দেয়ার পর,টিকা শেষ হয়ে যায়। এ কারণে অনেকে টিকা না দিয়ে ফেরৎ গেছে। এর সংখ্যাটা কত হবে ঠিক এ মূহুর্তে বলতে পারছেন না তিনি। তবে বুধবার সকালে ৫ হাজার সিনাফার্ম টিকা আসছে। তখন ফেরত যাওয়া সহ আগ্রহীরা সানন্দে টিকা নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে টিকা নিতে ভীড়
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
