ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামিকে দ্বিতীয় দিনের মতো কক্সবাজার আদালতে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার পরে কারাভ্যানে করে তাদেরকে আদালতের উদ্দেশ্যে হাজির করা হয়।
সকাল ১০টার পর সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় আদালতে দেশের আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করা হয়।
টানা তিন দিন এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে আদালত সূত্র জানায়।
এরপর বেলা ১১টার দিকে নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস সাক্ষ্য দেন।
এই তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে এ মামলার ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১৫ সাক্ষীকে সমন জারি করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথম দিন মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন ফেরদৌসের  সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার একই সময় আবারও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
সাক্ষীরা হলেন- শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী, শামলাপুর এলাকার মো. আবদুল হামিদ, মো. ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ, মহিবুল্লাহ, মো. আমিন, মো. কামাল হোসেন ও মো. শওকত আলী, রামু সেনানিবাসের সার্জেন্ট মো. আইয়ুব আলী, সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী ও রণধীর দেবনাথ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশাবুনিয়া গ্রামের হাফেজ জহিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।