অনলাইন ডেস্ক:

জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে একটা বয়সের পর থাবা বসাতে পারে হৃদরোগ। বিশেষ করে উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস থাকলে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমরা এতখানিই অসচেতন যে, একটা বয়সের পর আমাদের বেশির ভাগের মধ্যেই হৃদরোগজনিত কোনো না কোনো সমস্যা দেখা দেয়।

আমাদের পরিবর্তিত জীবনযাত্রা, অত্যধিক ব্যস্ততা ও মানসিক চাপ এগুলোও কিন্তু হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

খাবারে বদল আনুন

মাছ-মাংস যেমন খাচ্ছেন, তার সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত কয়েকদিন বেশি পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি ও ফাইবারযুক্ত খাবার খান। এই সব খাবার কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। খাদ্যতালিকায় ওটমিল, ব্রাউন রাইস, বিনস, মসুর ডাল, বাদাম, বীজ ও নানা ধরনের ফল রাখুন।

নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন

ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা ওবেসিটির মতো সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদরোগের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এসব থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এর সঙ্গে হাঁটাহাঁটিও করা জরুরি। একটানা হাঁটার সময় না পেলে সকাল, দুপুর ও রাত মিলিয়ে আধ ঘণ্টা হাঁটুন। তবে প্রতিদিন নিয়ম মেনে করতে হবে।

রাতে ভাল করে ঘুমান

রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে কিন্তু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে স্ট্রোক, হার্ট ফেল করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত যদি ঘুম না হয়, তা হলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল মতো হয় না। কাজেই শরীর তখন স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ ঘটায়, যার ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে।

মানসিক উদ্বেগ কমান

পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে নানা বিষয় নিয়েই আমরা অত্যধিক চাপে থাকি। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি তো বাড়েই, সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, বেশি খাওয়া, ধূমপান, ঘুমের সমস্যা ও ক্লান্তি দেখা দেয়। সেই জন্য কোনো ধরনের মানসিক চাপ বা উদ্বেগকে প্রশ্রয় না দেওয়ার চেষ্টা করুন। মনঃসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করতে পারেন। বই পড়া কিংবা গান শোনার অভ্যাস থাকলে, সেগুলোও চাপমুক্ত করতে সহায়তা করে।

ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ুন

ধূমপান করলে হৃদযন্ত্রের ধমনী সংলগ্ন কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি রক্ত জমাট বেঁধে যায়। অতিরিক্ত ধূমপান করলে বাড়ে হৃদস্পন্দনও। তাই হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।