গোলাম আজম খানঃ
মেরিন সিটি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের হতদরিদ্রদের জন্য ফ্রী চিকিৎসা সেবার ঘোষণা দিয়েছেন কক্সবাজার শহরের প্রবেশ মুখ লিংকরোডে গড়ে ওঠা মেরিন সিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান এ এম জি ফেরদৌস। তিনি আরো জানান, করোনাভাইরাসের কারণে চলমান অচলাবস্থায় যাতে কোনো রোগী চিকিৎসা বঞ্চিত না হয় সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁর প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি হাসপাতালটি।
বাণিজ্যিক চিন্তাধারার বাইরে গিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের দোরগোড়ায় হতদরিদ্রদের ফ্রী ও (লাভ নয় লোকসান নয়,সেবাই মুল লক্ষ্য) স্বল্পমূল্যে সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়াই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। আশপাশের অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা সেবা নিতে পাচ্ছেন এখানে।
করোনা সংক্রমণের সময় থেকে রাতদিন নিরলসভাবে এ অঞ্চলের হাজার হাজার সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
সবাই যখন শহরমুখী বাণিজ্যিক ভাবনায় নিমজ্জিত, ঠিক সেই সময় এ এম জি ফেরদৌস এ অঞ্চলের রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হলেন। নিজ অর্থ ব্যয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষা ও চিকিৎসাবঞ্চিত মানুষকে অল্প খরচে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসাসেবা দিতে এই অজ পাড়াগাঁয়ে ছুটে এসে গড়ে তুললেন সর্বাধুনিক এ হাসপাতাল। এ হাসপাতালটি চলে একঝাঁক দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে।
এ ছাড়া এ হাসপাতালের প্রসূতি, গাইনি, শিশু ও চক্ষু চিকিৎসায় এ হাসপাতালটি অনন্য। প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্ভুল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
লিংক রোডের আশপাশের হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
এ হাসপাতালের নিজস্ব লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স আছে, যা রোগীদের সেবায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়া এখানে একটি বিশুদ্ধ ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। যে কোনো ধরনের জরুরি রক্তের প্রয়োজনীয় চাহিদা এখান থেকে মেটানো হয়ে থাকে। যে কোনো গ্রুপের রক্তের জন্য রোগীর স্বজনদের ভাবতে হয় না।
সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হাসপাতালটিতে আরও রয়েছে কঠোর সিকিউরিটি ব্যবস্থা, সার্বক্ষণিক নিজস্ব বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, বড় বড় করিডর, প্রশস্ত দরজা জানালা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, রোগী ও স্বজনদের বসার সু-ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ওয়াশরুম। এ ছাড়া রোগীদের সেবার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত নার্স, আয়াসহ অন্যান্য কর্মচারী। রয়েছে সুলভ মূল্যের ফার্মেসি।
ভবিষ্যতে এ হাসপাতালটিকে নিজস্ব জায়গায় আরও উন্নত ও আধুনিক মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস করার বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে।
শিক্ষা ও চিকিৎসা : মেডিসিন, সার্জারি, স্ত্রী ও প্রসূতি, নরমাল ডেলিভারি, শিশু ও নবজাতক, চর্ম ও যৌন, মেডিসিন, চক্ষু, নাক-কান-গলা, অর্থপেডিকস ও ফিজিওথেরাপি বিষয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।