মুহাম্মদ মনজুর আলম, চকরিয়া:
চকরিয়ায় জমির বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাসির উদ্দিন নোবেল হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতের ছোট ভাই মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মাতামুহুরী সাংগঠনিক আওয়ামীলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. খলিল উল্লাহ চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১০-১২জনকে অজ্ঞাতসহ ৩২জনকে আসামী করা হয়েছে। খলিল উল্লাহ চৌধুরী গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মামলা রেকর্ডের দুই ঘন্টা পর এজাহার নামীয় তিন আসামীকে বাদী পক্ষের লোকজনের সহায়তায় চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে বিকাল ৫টার দিকে পূর্ব বড় ভেওলার দিয়ারচর বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকা ও ধানক্ষেত থেকে নুরুল আমিনের ছেলে দুই সহোদর এনামুল হক (৫০) ও মো. শামীম (৪০) কে স্থানীয় জনতা পাকড়াও করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এরমধ্যে আহত এনামুল হককে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
অপর গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিএমচর ইউনিয়নের দিয়ারচর গ্রামের মো, ইউনুছের ছেলে নুরুল আলম (১৯), একই ইউনিয়নের বেতুয়ারকুল গ্রামের বশির আহমদের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (১৯) ও নাদির হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৮)।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এজাহার নামীয় ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। আশাকরি সব আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা সীমান্তবর্তী বিএমচর ইউনিয়নের মুবিনপাডায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা নাসির উদ্দিন নোবেলকে গুলি করে হত্যা করেন। এসময় আরো ১২জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে আজিজুল হক নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে আহতের পরিবারসূত্রে জানা গেছে।