এম. মনছুর আলম, চকরিয়া:
চকরিয়ায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে চট্টগ্রামস্থ ওমর গণি এম.ই.এস কলেজের ছাত্র সংসদের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছির উদ্দিন নোবেল (৪২) কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত নাছির উদ্দিন নোবেল ওই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র।

স্থানীয় ও নিহতের স্বজনেরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১ ঘটিকার সময় ২০/৩০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভূমি বিরোধ নিয়ে সিকদার পাড়ার মুবিন চর এলাকায় গিয়ে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নাছির উদ্দিন নোবেল সহ ১১ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তন্মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা নাছির উদ্দিন নোবেল হাসপাতালে প্রাণ হারায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শাহ ফয়সাল আহমাদ ফাহিম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

অপরদিকে নিহত নোবেলের স্বজনেরা দাবী করেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল বলে প্রতিপক্ষরা তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ফেরদৌস আহমদের পুত্র আজিজুল হক (৫০), আবু তাহেরের পুত্র মিজানুর রহমান (৩১), ওমর মিয়ার ছেলে ছরওয়ার হোসেন (৪২), আকবর আহমদের ছেলে আবুল কালাম ইয়াছিন (২১), সিরাজ মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন (৩৫), আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ শফি (৩৮), গোলামুল ইসলামের ছেলে নুরুল কাদের (৪৩), আজাহার আহমদের ছেলে জাফর আলম (৫০), মনু মিয়ার ছেলে জাহেদুল ইসলাম (২৪) ও বাদশা মিয়ার ছেলে কছির উদ্দিন (৪৫)। নিহত নোবেলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এছাড়া স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শোনে মা রোকেয়া বেগম (৬২) জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মূলত ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে লাশের সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।