সিবিএন :
কক্সবাজারে বৃহষ্পতিবার দ্বিতীয় দিনেও পৃথক দু’টি ইউনিয়নে ১৪০০ (এক হাজার চারশ’) পরিবারের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে ৯০০ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে দু’দিনের বিতরণ কর্মসুচি সমাপ্ত করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নে গত দু’দিনে ১৫০০ পরিবারের মাঝে বসুন্ধরার উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হল।
অপরদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে তিন দিন ব্যাপি খাদ্য বিতরণ কর্মসুচি বৃহষ্পতিবার শুরু করা হয়েছে। কক্সবাজার সরকারি কলেজের মাঠে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। প্রথম দিন ঝিলংজা ইউনিয়নে ৫০০ পরিবারের মাঝে তুলে দেওয়া হয়েছে বসুন্ধরার উপহার সামগ্রী।
ঝিলংজা ইউনিয়নে উপহার সামগ্রী বিতরণ কর্মসুচির উদ্ভোধন উপলক্ষে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ কক্সবাজার জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্টিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শুভ সংঘের প্রধান উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তোফায়েল আহম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল, কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় ও জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রাইসুল ইসলাম প্রমুখ।
এলাকার অসহায় ও অতিদরিদ্র পরিবারের লোকজন দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সামগ্রী পেয়ে মহাখুশি। এছাড়া অনুষ্টানে সবার মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়। কোনো রকম কষ্ট ও ঝামেলা ছাড়া বসুন্ধরার উপহার সামগ্রী পেয়ে উপকারভোগীরা বলছেন, মহামারীর কঠিন এই সময়ের অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় আমাদের বিপদের বন্ধু হয়ে পেটের খবর নিয়েছে বসুন্ধরা।
কালের কণ্ঠ শুভসংঘ সদস্যদের সহযোগিতায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিলংজা ইউনিয়নের ৫০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হল। আগামী দুইদিন পর পর আরো এক হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে বসুন্ধরার উপহার সামগ্রী।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্টানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, ‘খাদ্য সামগ্রী উপহার এর মাধ্যমে সরকার যেমন মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারেও মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে সরকার। অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে সরকারের পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ সহযোগিতা করছে সেজন্য তাদের কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।’ তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা পেয়ে অনেক মানুষ খুশি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘ দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনার এ কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরীব দুখী মেহনতী মানুষের পাশে দাড়িয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছে। তারা যেন এভাবে মানুষের পাশে থাকে সে জন্য শুভ কামনা রইলো।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল বলেন, মহামারী করোনায় সাধারণ মানুষ বেকার হয়ে পড়ছেন। খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। সরকারের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশের এই ক্রান্তিকালেও বসুন্ধরা গ্রুপ কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে খাবার সহায়তা দিচ্ছে। স্বনামধন্য এই গ্রুপের এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
এ সময় মেরিন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান এএমজি ফেরদৌস, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের কক্সবাজার সভাপতি রাজিব দেবদাস, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সাইফুল আদর সহ শুভসংঘের সদস্যরা ও কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সহ কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।