মোহাম্মদ নুরুদ্দোজা,চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের পাহাড়িয়া পাড়া ও তৎ সংলগ্ন কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ ২ ইউনিয়নের হাজার-হাজার মুসলিম নারী পুরুষের মৃত ব্যক্তিদের দাফন করার একমাত্র কবরস্থান টির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে বিএমচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পাহাড়িয়া পাড়া এলাকার রফিক আহমদের পুত্র সাইনুল ইসলাম নোমান ও মৃত মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র তৌহিদুল গং এর।
এ ঘটনায় বিএমচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ছোট ভেওলা ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ এনামুল হক দু’জনেই বাদী হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে ,দীর্ঘ দিনের দখলীয় ২ ইউনিয়নের মুসলিম উম্মার একমাত্র কবরস্থান টি উদ্ধার করার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিএমচর ইউনিয়নের পাহাড়িয়া পাড়া ও তৎসংলগ্ন কৈয়াবিল ইউনিয়নের ১ওয়ার্ড,এই দুই ইউনিয়নের হাজার-হাজার বাসিন্দা অর্থাৎ মুসলিম নারী-পুরুষের শতাধিক বৎছরের মসজিদের ওই কবরস্থানটি মাতামুহুরি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর মসজিদ ও এলাকার লোকজনের শতবর্ষী ব্যবহ্নত পুকুরটি ভরাট করে এবং এর সাথে নতুন করে ছোট ভেওলা মৌজার বি,এস ৫৭৮১দাগের পূর্বের মালিকদের অবিক্রীত জমি ও তৎ সংলগ্ন খাস জায়গা নিয়ে কবরস্থান তৈরি করিয়া বহু বছর যাবত কবরস্থান টি ব্যবহার করে আসছে উল্লেখিত ২ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে একই দখলদার প্রতিপক্ষ সাইনুল ইসলাম নোমান ও তৌহিদুল ইসলাম গং কবরস্থানের জমি জোর পূর্বক টেংরা-জলি দিয়ে ঘেরাও করে দখলে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাদী ইউপি সদস্য মোঃ এনামুল হক জানান মসজিদের কবরস্থানের জমি উদ্ধার করার জন্য দু’জন প্রতিনিধি মিলে যৌথ ভাবে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে অভিযুক্ত সাইনুল ইসলাম নোমান ১৯৭৭ইং সালে তার পরিবারের কর্তারা জমি ক্রয় করেছেন বলে দাবী করেন,তার দাবীর বিরুদ্ধে মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় জন প্রতিনিধি জানিয়েছেন তাদের ক্রয়কৃত জমি পার্শ্ববর্তী ভিন্ন দাগে,কবরস্থানের জায়গাগুলি অবিক্রীত – নোমান ও তৌহিদুল ইসলাম গং দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে এ সব করছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুচ সালাম জানিয়েছেন দখলবাজরা মসজিদের কবরস্থান দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে,এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়োছেন উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখাদিয়েছে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী। এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিরা প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন দুই ইউনিয়নের হাজার-হাজার বাসিন্দা-মুসলিম নারী-পুরুষের একমাত্র কবরস্থান টি উদ্ধার করে দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
।