মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এডভোকেট ফরিদুল আলম করোনা মুক্ত হয়েছেন। গত শুক্রবার ৬ আগস্ট কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাব হতে তাঁর ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। গত ২৫ জুলাই তাঁর দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছিলো।

বিষয়টি সিবিএন-কে তাঁর সহধর্মিণী অধ্যাপক নাসিম আক্তার সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।

এডভোকেট ফরিদুল আলমের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ঐদিন রাতেই কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হয়ে তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার ৭ আগস্ট তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

মরহুম আমির হামজা ও মরহুমা আয়েশা বেগমের সন্তান, শহরের কক্সবাজার সদর থানার পেছন রোডের বাসিন্দা, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর আগে প্রায় এক দশক ধরে একই আদালতের অতিরিক্ত পিপি হিসাবে এডভোকেট ফরিদুল আলম সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এডভোকেট ফরিদুল আলম কক্সবাজার সিটি কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা স্কাউট সহ জেলার বিভিন্ন কল্যানমূখী সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি ১৯৯৭ সালের ৩ মার্চ কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির একজন নবীন সদস্য হিসাবে আইন পেশায় যোগ দেন।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি, বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট ফরিদুল আলমের ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর মহান আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন, অসুস্থ থাকাবস্থায় যাঁরা দোয়া করে, বিভিন্নভাবে খোঁজ খবর নিয়ে, চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তুলেছেন-তাঁরা সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি পূর্ণ সুস্থ হয়ে, যাতে তাঁর প্রিয়াঙ্গন আদালতের দায়িত্ব পালনে ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য মহান আল্লাহর অসীম রহমত ও সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলমের সহধর্মিণী অধ্যাপক নাসিম আক্তার।