বার্তা পরিবেশকঃ
গত ৪ আগস্ট ২০২১ কক্সবাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোর্টাল সিবিএননিউজ এবং ৫ আগস্ট ২০২১ দৈনিক কক্সবাজারে উক্ত শিরোনামে একটি সংবাদ আমার পরিদৃষ্ট হয়েছে, তার সঠিক জবাব প্রদান এখন আমার দায়িত্ব হয়ে পড়েছে, নচেৎ কক্সবাজারবাসী বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাবে।
গত ০২ আগস্ট কক্সবাজারের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ‘কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট’ কর্তৃক আয়োজিত ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে ৫ জন ট্রাস্টির উপস্থিতিতে যা বলা হয়েছে তার প্রত্যেকটির প্রমাণপত্র (হার্ডকপি ও সফটকপি আকারে) সাংবাদিকদের হাতে পৌছানো হয়েছে। এখানে কারো বিরুদ্ধে অহেতুক, অযাচিত ও অশোভন আচরণ করা হয়নি। যারা লুটপাটকারী,অযোগ্য,কপট ও প্রতারক তাদের বিরুদ্ধে তথ্যভিত্তিক লুটপাটের চিত্র, অযোগ্যতার দলীল, বেঈমানির নমুনা প্রদর্শনপূর্বক কথা বলা হয়েছে। তাই তাতে তাদের আঁতে ঘা লেগেছে। এ প্রতিবাদ লিপিতে তারা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে। এখানে সংক্ষেপে এ প্রসঙ্গে আমার বিশদ বক্তব্য তুলে ধরছি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পর কেউ জোর করে নিজেকে ‘প্রতিষ্ঠাতা’ দাবী করতে পারেন না, কোন ইনভেস্ট না করে আরেকজনের ইনভেস্টেড প্রতিষ্ঠান দখল করে তার বৈধতা আনয়নের জন্য ৭ বছর পর নতুন মালিকানা অথরিটি তথা ট্রাস্ট যে গঠন করা যায় না-এটা সহজ বোধগম্য বিষয়। অথচ এসব কাজ করেছেন সালাহ উদ্দীন আহমদ। যারা এভাবে মানুষের সম্পদ দখল করে তাদেরকে লুটেরা-ই বলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কোন অভিজ্ঞতা ও জার্নালে প্রকাশনা না থাকা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক (যিনি বিসিএস উত্তীর্ণ নন) কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের এডভাইজার হতে পারেন না। অথচ ইউজিসির সকল নিয়মনীতি ভঙ্গ করে গিয়াসুদ্দীন সাহেব সিবিআইইউর একাডেমিক এডভাইজার ও প্রফেসর হয়েছেন, যদিও এ নামে কোন পদ ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় নেই।

সিবিআইইউতে ‘লোকপ্রশাসন’ সাবজেক্ট নেই। বিশ্ববিদ্যালয় তো বটে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটি স্বতসিদ্ধ বিষয় যে, যিনি যে সাবজেক্টে শিক্ষক নিযুক্ত হবেন তিনি সেই সাবজেক্টে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হবেন। ড. সরফরাজ আলী খান লোক প্রশাসন থেকে পড়াশোনা করে কিভাবে বিবিএ ফ্যাকাল্টির শিক্ষক হয়েছেন, তা আমার বোধগম্য নয়। ইউজিসির শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা তোয়াক্কা না করে তাকে যথাযথ যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা এবং পর্যাপ্ত গবেষণা না থাকা সত্তে¡ও এসোসিয়েট প্রফেসর এবং তিন ফ্যাকাল্টির ডিন হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ১৯/১২/২০২০ ইং তারিখ দৈনিক বণিকবার্তায় ‘কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যোগ্যতা ছাড়াই সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, “গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআইইউর রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে ছিলেন খন্দকার এহসান হাবীব। যদিও ২১ নভেম্বর দেয়া এ নিয়োগ সম্পর্কে জানতেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এহসান হাবীব বলেন, রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকাকালীন উপাচার্যের কার্যালয় থেকে সরফরাজ আলীর সিভি আমার কাছে পাঠানো হয়। সিভি অনুযায়ী তিনি লোক প্রশাসনে অনার্স-মাস্টার্স করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক ডিগ্রি ও প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করায় এ নিয়োগ সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিই। চলতি মাসের শুরু থেকে আমি সিবিআইইউ‘র সঙ্গে নেই। সম্প্রতি জানতে পারলাম তাকে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।” সালাহ উদ্দীনের একক সিদ্ধান্তে এ অযোগ্য শিক্ষককে নিয়োগ দেয়া হয় মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এমতাবস্থায় গত ২৭/১২/২০২০ ইং তারিখ ইউজিসির পক্ষ হতে পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে ড. সরফরাজ আলী খানকে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দানের বৈধতার ব্যাখ্যা চেয়ে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের নির্দেশ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর ফিন্যান্স হিসেবে জসিম উদ্দীন নামে যাকে উল্লেখ করা হচ্ছে,তার যেমনি এ পদের যোগ্যতা নেই তেমনি এ পদে তাকে নিয়োগেরও কোন বৈধতা নেই, বিগত ৩১/০৮/২০২০ ইং তারিখ এ পদে জসিম উদ্দীনের নিয়োগ আদালত স্থগিত করেছে। তারা প্রতিবাদলিপির শুরুতে বলেছেন,“আমরা স্পষ্টত বলতে চাই, বিজ্ঞ আদালত, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি’র নির্দেশনার বাইরে আমাদের কোনো অবস্থান নেই।”- এটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা কথা। কারণ, বিজ্ঞ আদালত গত ১৮/০২/২০২১ ইং তারিখ দখলদার সালাহ উদ্দীন গংয়ের বিরুদ্ধে রুলনিশি জারি করেছে এবং উভয় ট্রাস্টের ট্রাস্টিগণকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু সালাহ উদ্দীন-গিয়াসুদ্দীন গং এ আদেশ অমান্য করে কয়েকদিন পর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সভা করে চলেছে। ১৮/০৬/২০২১ ইং তারিখে তারা আদালতের আদেশ লংঘন করে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়ও যোগ দিয়েছে।
তারা আরো বলেছেন, “জনাব মুজিবুর রহমান গং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছিল এবং এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বর্তমানে নানা ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে।” যদি এমন দাবি করা হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এত কোটি কোটি টাকা কিভাবে আয় হয়েছিল এবং কাদের অর্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টের সিগনেচার হোল্ডার ট্রেজারার তখন কি ভূমিকা পালন করছিলেন আর লকডাউনে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো সিবিআইইউও বন্ধ থাকায় দখলদার গোষ্ঠীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত না হওয়া কি গা ঢাকা দেয়া ? আমি তো আমার অবস্থান থেকে সারাক্ষণ সালাহ উদ্দীন-গিয়াসুদ্দীন গংয়ের দখলদারির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছি।

২০১৩ সালে উখিয়ার জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সালাহ উদ্দীনকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে বড় ধরণের প্রতারণা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত ১০ সদস্যের ট্রাস্টে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন এনে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে বিনা পয়সায় একজন ট্রাস্ট সদস্য হয়ে চেয়ারম্যান পদ অলংকৃত করেন কিন্তু তিনি যে ট্রাস্টে এক টাকাও দেননি সে মর্মে তার মুখের অডিও ভাষ্য আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।

প্রতিবাদ বক্তব্যে বলা হয়েছে “সালাহ উদ্দীন আহমদের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে লায়ন মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ” এখানে প্রশ্ন ওঠতে পারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের চেয়ে সালাহ উদ্দীন আহমদের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যস্ততা কি বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল? তিনি কি ২০১৩ সালে গঠিত ট্রাস্ট ডীডে স্বাক্ষর করেননি? তখন কি ডীড পড়ে দেখারও তার সময় হয়নি? অথচ ডীডের ১ম পৃষ্ঠায় লেখা আছে “ Lion Mohammad Mojibur Rahman, Son of late Alhaj Amir Hossain & Sayera Khatun, Address:… (Hereinafter called the “Author” i.e. the founder of the trust)” এ ডীডের শেষ পৃষ্ঠায় তার স্বাক্ষর সম্বলিত মূল দলিল আমাদের হাতে রয়েছে। এভাবে ইউজিসি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ধারিত আবেদন ফরমে প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র নাম ও পরিচিতি আলাদা আলাদাভাবে রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের পূর্বে ০৩/০৭/২০১৩ ইং তারিখ ইউজিসির তদন্ত রিপোর্টে লায়ন মো: মুজিবুর রহমানকে প্রতিষ্ঠাতা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৫/০৯/২০১৩ ইং তারিখ এবং ইউজিসি ০৬/১০/২০১৩ ইং তারিখ লায়ন মো: মুজিবুর রহমানকে প্রতিষ্ঠাতা নির্ধারণ করে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অনুমোদন দেয়। ইতিমধ্যে কয়েকমাস পর পর ট্রাস্টি বোর্ড কিংবা একাডেমিক কাউন্সিল কিংবা সিন্ডিকেট সভা হয়েছে। প্রায় সব সভায় সালাহ উদ্দীন সাহেব অংশ গ্রহণ করেছেন। ৭ বছর ধরে তিনি আমার পাশে বসে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মেনে নিয়ে সব ধরণের সভায় মূল্যবান মতামত পেশ করেন। তিনি বলেছেন, তার অগোচরে আমি আমার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেছি অথচ তিনি আমাদের সবাইকে নিয়ে গঠিত ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে ৭ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেন। এ ব্যাপারে তিনি কখনো আপত্তি তোলেননি। আজ মহামারির কঠিন লকডাউন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে এসব অতীত ইস্যু সামনে নিয়ে আসছেন? তিনি আরো বলেছেন, ট্রাস্টে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির লোকদের রাখা হয়নি- কী জঘন্য অপবাদ! বাস্তবে ট্রাস্টের সবাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান। অথচ তিনি কোন্ পরিবারের সন্তান-সেটা কারো অজানা নয়। মুক্তিযুদ্ধে তার পিতার ভূমিকা নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পক্ষান্তরে আমার শ্বশুর একজন স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধা এএসপি আতাউর রহমান, যিনি চাকুরিতে যোগদানের আগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক সভাপতি ছিলেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধে অসমান্য অবদান রাখা এবং তৎপরবর্তী সময়ে সৎ পুলিশ অফিসার হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত থেকে ক্রেস্ট লাভ করেন। তিনি কক্সবাজারেও ওসি/এএসপি হিসেবে বহু বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেন আর তার পরিবারের সদস্যরা এ ট্রাস্টের মেম্বার হয়েছেন। এখনও তারা বর্তমান সরকার কর্র্তৃক নিযুক্ত হয়ে পিপি/এপিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সালাহ উদ্দীন আহমদ বিশ্ববিদ্যালয় দখল নিষ্কন্টক করার নিমিত্তে আমার বিরুদ্ধে যে দুটি মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করেছে তা থেকে আদালত আমাকে জামিন দিয়েছে এবং শীঘ্রই উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে আমার পূর্ণাঙ্গ নিষ্কৃতি লাভের মধ্যদিয়ে এ মামলার বাদীদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে, ইনশাল্লাহ।

প্রতিবাদে বলা হয়েছে, “জনাব সালাহ উদ্দিন আহমদের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।” এ কথা সত্য হলে কেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সিবিআইউতে এক বছরের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সুপারিশ করেছে, তা বোধগম্য নয়। বাস্তবে এটি একটি নির্জলা মিথ্যাচার। গত ১৬/০৬/২০২১ ইং তারিখের দৈনিক বণিক বার্তায় শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সুপারিশ সম্পর্কে প্রচারিত সংবাদে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা-২০১০ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন অনুমোদিত ট্রাস্টের রেজুলেশন ছাড়া ট্রাস্ট পূনর্গঠনের কোন সুযোগ নেই। মিথ্যাচারে সিদ্ধহস্ত সালাহ উদ্দীন ও তার দোসররা মূলত ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা-২০১০ পুরোপুরি লংঘন করে পেশীশক্তির জোরে সব কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে সন্তান জন্ম দানের ৭ বছর পর যেমনি পিতার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর তেমনি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পর ভিন্ন কেউ এর প্রতিষ্ঠাতা দাবী করাও হাস্যকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে কক্সবাজারবাসীকে নিয়ে যে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নের জন্য জবরদখলদার ও প্রতারক চক্রের হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে এখনই জেলাবাসীর সোচ্চার কন্ঠে আওয়াজ তোলা প্রয়োজন। শিক্ষা যেভাবে আইন ও আদর্শের প্রশিক্ষণ দেয় তেমনিভাবে নীতি ও আদর্শের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে, কারো হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নয়। সবশেষে চক্রান্তকারীর চক্রান্ত থেকে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রক্ষায় দলমত নির্বিশেষে সবার একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।

আপনাদেরই একান্ত বিশ্বস্ত
লায়ন মো: মুজিবুর রহমান
প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারি
বোর্ড অব ট্রাস্টিজ
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট, কক্সবাজার।
ফোন: ০১৭৭৭-৪৪৭৪১১।