স্পোর্টস ডেস্ক : এই অস্ট্রেলিয়া খেলতেই চায় না বাংলাদেশের সঙ্গে। খেলতেই চায় না বাংলাদেশের সঙ্গে। গত ১৫ বছরে মাত্র ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল দুই দল, সেটিও আবার বৈশ্বিক আসরে। এই প্রথমবার দ্বিপক্ষীয় পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে এসেছে অজিরা। এসেই যেন বড় বিপদে পড়ে গেল ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে গেল বাংলাদেশের কাছে। ১২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।

ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানেই বিদায় নেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে সৌম্য ফেরেন রানের খাতা খোলার আগে। নাঈমকে জশ হ্যাজেলউড ফেরান ৯ (১৩) রানে।

দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়া দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদী হাসান। দুইজন মিলে জুটি বাঁধেন ৩৭ রানের। ২৫ রানে সাকিবকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন অ্যান্ড্রু টাই।

সাকিবের বিদায়ের পরের ওভারেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে শূন্য রানে বোল্ড করে ফেরান অ্যাস্টন অ্যাগার। রিয়াদের পর মেহেদী ফিরেন ২৩ (২৪) রানে অ্যাডাম জাম্পার বলে স্টাম্পিং হয়ে।

দলীয় ৬৭ রানে ৫ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর আর উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে। আফিফ হোসেন (৩৫) আর নুরুল হাসান সোহানের (২২) অনবদ্য জুটিতে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সঙ্গে অজিদের দাম্ভিকতার দর্পচূর্ণ করে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

অজিদের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যান্ড্রু টাই।

এর আগে সন্ধ্যা টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে অজি ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারি বিদায় নেন ১১ রানে মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে।

ষষ্ঠ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে ক্যাচ দিয়ে জশ ফিলিপের ১০ রানে বিদায়ে আরও বিপাকে পরে দল। তবে মিচেল মার্শ আগলে রাখেন একপাশ। মইসিস হ্যানরিক্সকে নিয়ে স্কোর কার্ডে যোগ করেন ৫৭ (৫২) রান।

দুইজনের জুটি ভাঙে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে হ্যানরিক্সের ৩০ রানে বিদায়ের মধ্য দিয়ে। এরপর দলীয় ৯০ রানের মাথায় মার্শকে ৪৫ (৪২) রানে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরান শরিফুল ইসলাম।

শেষে মিচেল স্টার্কের ১৩ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ১২১ রান তোলে অজিরা। বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ২ উইকেট নেন শরিফুল ও ১টি করে উইকেট নেন সাকিব এবং শেখ মেহেদী। – আরটিভি