চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম কর্ণফুলীস্থ ‘কেইপিজেড লেকের’ বাঁধ ভেঙে বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কয়েকশ বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সাড়ে ১১টা থেকে এখন পর্যন্ত বাঁধ ভাঙা পানির চাপে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে আবুল বশর ছোটন জানান, প্লাবিত এলাকায় বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, খেতের ফসল, মুরগির ফার্ম, মৎস্য চাষিদের মাছের ঘের তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ী ঢলের পানি ও টানা বৃষ্টির কারণে কেইপিজেড এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির চাপে এক পর্যায়ে বাঁধের এক স্থান ভেঙে যায়। এরমধ্যে কয়েক এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়। পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
বড়উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, ‘কেইপিজেড লেকের বেড়িবাঁধের একটি স্থানে ভাঙনে দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে গ্রামবাসীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) এজিএম মুশফিকুর রহমান জানান, ‘রাতের বেলায় কিভাবে লেকের বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে জানি না, তবে আমরা খবর নিচ্ছি। কেইপিজেড অবশ্যই দরিদ্র মানুষের পাশে থাকবে।’
বড়উঠান ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাজ্জাদ খাঁন সুমন বলেন, ‘কেইপিজেড লেকের বাঁধ ভেঙে শতাধিক বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। পুকুরের মাছ চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা জানান, রাতেই উপজেলা প্রশাসন ভাঙন-কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।