মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাইশারী-আলীকদম সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
সরেজমিনে  দেখা যায়, উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের অংশে অবস্থিত বাইশারী বাজার হয়ে আলীক্ষ্যং পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ কিঃমিঃ সড়কটি বান্দরবানের সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনের কিছু অংশ (৩ কিঃমিঃ)কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হয়। এছাড়া বাকী অংশ ব্রীক সলিন দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক গুলো কালভার্ট ছোট খাট ব্রীজও নির্মাণ করা হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই থেকে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে এসব এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সড়কের অনেক স্থানে পাহাড়ের মাটি পড়েছে, আবার অনেক অনেক পানিতে ভেঙে গেছে, কার্পেটিং রাস্তার অংশ পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ফাটল ধরেছে। তাছাড়া সড়কের চাইল্যাতলি, মালটা বাগান, থুইলাঅং পাড়া, লম্বাবিল এলাকায় পানিতে তলিয়ে গিয়ে বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়েছে।
ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার সাদেক জানান, এবারের টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে রাস্তাটির অবস্থা খুব খারাপ হয়েছে। এ অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এ নাজুক অবস্থা হওয়ায় জনদূর্ভোগ এখন চরমে। তিনি দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করে গাড়ী চলাচলের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট দাবী জানান।

বাইশারী রাবার বাগানের একজন সিনিয়র ব্যবস্থাপক আল আমিন জানান, সড়কের উভয় পার্শে কয়েক হাজার একর রাবার বাগান রয়েছে। বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাওয়ায় রাবার নিয়ে আসা বন্ধ রয়েছে। তাই রাবার চাষিরা বেকায়দায় পড়েছে।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন বাইশারী-আলীক্ষ্যং সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে তাই অন্য ডিপার্টমেন্ট ওখানে কাজ করবেনা। সেহেতু তাদের সাথে কথা বলে দ্রুত মেরামতের জন্য বলা হবে। তাছাড়া সড়কটির শেষ অংশে আলীক্ষ্যং খালের উপর একটি ব্রীজের অভাবে হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তিনি ব্রীজটি নির্মানের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এবিষয়ে বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর মোঃ মোসলেহ উদ্দিনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন নাইক্ষ্যংছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের কাজ করছেন। কাল পরশু বাইশারী-আলীকদম সড়কের বাইশারীর অংশ পরিদর্শন করে দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাছাড়া আমাদের লোকজন টানা বর্ষনের জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কারনে অনেক সড়ক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে।