আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও কক্সবাজার:

আজ ২৩ জুলাই থেকে পূর্ব ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে। তবে আগের মতই মহাসড়স্থ বাজার গুলোতে লকডাউন সর্বাত্মক পালিত হলেও বাজারের অভ্যন্তর এবং গ্রামীণ বাজার,দোকান এবং রাস্তা গুলোতে জনসমাগম এবং গাড়ি চলাচল সেই আগের মতই হচ্ছে।

সরকার উর্ধমুখী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষায় ঈদ পরবর্তী সর্বাত্মক লকডাউনের অংশ হিসেবে সমস্ত শিল্প কারখানা,সবধরনের যানবাহন এবং জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ঈদুল আযহার পূর্বেই নির্দেশনা জারি করে।কিন্তু আজ শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরিণ ছোট খাট যানবাহন চলছে আগের মতই।বরং এসব ছোট যান গুলো লকডাউনের দোহাইয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ তিনগুন ভাড়া জোর পূর্বক আদায় করছে বলে যাত্রীরা জানান।

চলমান লকডাউন সাধারণ জনগণের জন্য চরম দূর্ভোগের হলেও রিক্সা,টমটম,সিএনজি এবং মাহিন্দ্র জাতের গাড়ী গুলোর জন্য কোরবানির ঈদ এবং লকডাউনে অন্য গুলো না চলায় লকডাউনকে গলাকাটা ভাড়া আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করছে।

এদিকে প্রশাসন লকডাউন কার্যকরে মহাসড়কস্থ বাজারগুলোতে অবস্থান নেয়ায় মহাসড়ক গাড়ি ও জনশূন্য। তবে বৃহত্তম ঈদগাঁও বাজারসহ অত্র থানার অধীন এলাকার গ্রাম্য বাজার এবং রাস্তা গুলোতে গাড়ি চলাচল ও জনসমাগম স্বাভাবিক ভাবে হচ্ছে। এতে করে সরকারের নেয়া করোনা উদ্যোগ যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

অপরদিকে অতীতের লকডাউনে দেখা যায় কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য সড়কে চলাচলকারী মোটর সাইকেল এবং ছোটখাট যানগুলো থেকে লকডাউনের দোহাইয়ে চাবি কেড়ে নেয়। পরে টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাড়ি গুলো ছেড়ে দেয় বলেও অসংখ্য অভিযোগ আসছে। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের নেয়া নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়নে মহাসড়কের পাশাপাশি গ্রামের বাজার ও সড়ক গুলোতেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যতায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপ আলোর মুখ দেবেনা বলে অভিমত প্রকাশ করেছে সচেতন মহল।