সিবিএন ডেস্ক:
জার্মানি ও ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯০ হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞ সরিয়ে যোগাযোগব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, জার্মানিতে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল সফর করেছেন দেশটির চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মার্কেল। গত সপ্তাহে বন্যা শুরু হওয়ার পর রোববার প্রথমবারের মতো দুর্গত অঞ্চল পরিদর্শনে যান তিনি। মার্কেল বলেন, তিনি মাঠপর্যায়ে বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্যই এ পরিদর্শনে গেছেন।

তিনি বলেন, জার্মান ভাষায় এমন কোনো শব্দ নেই যা দিয়ে এই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়া যায়। জার্মানির পাশাপাশি বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসেও বন্যা হচ্ছে।
গত অর্ধশতকের মধ্যে ইউরোপের এই দেশটিতে এই প্রথম এমন ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।
নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের ইরফটস্টাডট সফরে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ওয়াল্টার স্টেনমেয়ার বলেন, হতাহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা ও শোক জানাচ্ছি। এই বিপর্যয়ে আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে।
এদিকে বেলজিয়ামের বন্যাকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণাঞ্চলেও বন্যায় একপ্রকার ভেঙে পড়েছে সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা। এতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার হাজারো বাসিন্দা।
পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে পেপিনস্টার এবং ট্রুজ শহরে। এ দুটি শহরেই এখন কেবল ধ্বংসের ছাপ। প্রতিনিয়তই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ আবাসিক এলাকা। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় মানবেতন জীবনযাপন করছেন হাজার হাজার বাসিন্দা। পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।