সিবিএন ডেস্ক:
রাজধানী ঢাকায় করোনা রোগীদের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে আর মাত্র ৫৭টি আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে।

রবিবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২৫ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৭৮ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেলো।

রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি আর মৃত্যুর মিছিলে রাজধানী ঢাকাতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আজ জানিয়েছে, রাজধানীতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া ১৬ হাসপাতালে আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে মাত্র ৫৭টি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, রাজধানী ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড ১৬ হাসপাতালগুলোর মধ্যে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা হলেও সেখানে তাদের জন্য আইসিইউ নেই।

বাকিগুলোর মধ্যে রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, সরকার কর্মচারী হাসপাতালের ছয় বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪ বেড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেড আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের সবগুলোতে রোগী ভর্তি রয়েছে।

বাকি হাসপাতালগুলোর মধ্যে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ২৬ বেডের মধ্যে একটি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ বেডের মধ্যে একটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ মধ্যে দুটি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আট বেডের মধ্যে একটি, টিবি হাসপাতালের ১৬ বেডের মধ্যে ১২টি, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের মধ্যে চারটি ও ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের ২১২টি আইসিইউর মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ৩৬ বেড।

অর্থাৎ রাজধানী ঢাকার সরকারি করোনা ডেডিকেটেড ১৬ হাসপাতালের ৩৯৩টি আইসিইউ বেডের মধ্যে মাত্র ৫৭টি বেড ফাঁকা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আগেই শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, দেশের প্রান্তিক পর্যায়সহ জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ শয্যার সংখ্যা কমে আসছে।

সংক্রমণ কিছুতেই কমছে না জানিয়ে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেছেন, যেখানে গত দুই মাস আগেও সারাদেশে সাধারণ শয্যা এবং আইসিইউ বেড খালি ছিল, সে সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।

রোবেদ আমিন জানান, যে হারে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে যদি বিদ্যমান চাপ চলতেই থাকে তাহলে আগামী সাত থেকে ১০ দিন পর আর হাসপাতালের বেড খালি থাকবে না।