বান্দরবান প্রতিনিধি:

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বান্দরবানের মানুষ যাতে কারো কাছে হাত পাততে না হয়, নিজেরা যেন স্বাবলম্বী হয় সে চেষ্টা করতে হবে। কেবল হাত না পেতে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং এক সময়ে নিজেরাও অন্যকে সহযোগিতা করার উপযুক্ত হতে হবে। তবেই আজকের এই ভ্যান, ঠেলা ও রিকশা বিতরণ কার্যক্রম সার্থক হবে।

মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানস্থল মন্ত্রীর বাস ভবন চত্বরে আয়োজিত ভ্যান, ঠেলা ও রিকশা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বীর বাহাদুর এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেছেন করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্যেক জেলায় নিয়মিত দেখ ভাল করছেন। এই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ের মানুষের উন্নত চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে বান্দরবানও রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটি পক্ষ থেকে অক্সিজেন মাধ্যমে এলাকার গবীর অসহায়দের সেবা দিয়ে যাবে। এতে করে পাহাড়ের মানুষের জন্য অক্সিজেনের অভাব কিছুটা হলেও পূরণ হবে।

পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরের পক্ষ থেকে অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে ভ্যান/ঠেলা গাড়ি ও রিকশা বিতরণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী, আঞ্চালিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ, সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মারমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ পরিচালক ডা. অং চা লু,বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু,শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মার্মা বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে, প্রয়োজনে ঘরের বাইরে এলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে, শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এছাড়া বান্দরবানে দ্বিতীয় পর্যায়ে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন এসেছে, নিবন্ধন করে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহবান জানান সিভিল সার্জন।

শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ জানান, অনুষ্ঠানে ১৫টি ঠেলা ও ভ্যান গাড়ি এবং ২০টি রিকশা ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি পক্ষ থেকে ৫টি অক্সিজেন বিতরণ করা হয়।