সোয়েব সাঈদ, রামু:
কক্সবাজারের রামুতে চলমান কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে কাজ করছে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। উপজেলার মহাসড়ক, সড়ক-উপ সড়কগুলোতে তল্লাশীর মাধ্যমে যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ, মাস্ক পরতে সচেতনতা সৃষ্টিতে রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করে সবার দৃষ্টি কাড়ছে গ্রাম পুলিশের শতাধিক সদস্য।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানিয়েছেন- রামুতে মহাসড়ক এবং জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক যেখানে রয়েছে সেখানেই গ্রাম পুলিশ সদস্যরা লকডাউন কার্যকরে ভূমিকা রাখছে। এরমধ্যে চাকমারকুল, ফতেখাঁরকুল, জোয়ারিয়ানালা ও রশিদনগর ইউনিয়নের সকল গ্রাম পুলিশ সদস্যরা চলমান কঠোর লকডাউনের শুরু থেকে যানবাহন ও জন চলাচল বন্ধে কাজ করে আসছে। করোনা মহামারী রোধে গ্রাম পুলিশের এ ধরনের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
রামুর সদর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম জানিয়েছেন-এ ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য মহাসড়ক ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪টি অস্থায়ী তল্লাশী ফাঁড়ি স্থাপন করে করোনা পরিস্থিতিতে চলমান কঠোর লকডাউনে যান চলাচল বন্ধে কাজ করছে। এ ইউনিয়নের তেমুহনী স্টেশন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বাইপাস ফুটবল চত্বর, চেরাংঘাটা মোড়, উত্তর বাইপাস মোড়ে গ্রাম এসব অস্থায়ী তল্লাশী চলছে।
তিনি জানান-গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি পরিষদের ইউপি সদস্য, নারী সদস্যরাও লকডাউন কার্যকর করে করোনা মহামারী থেকে জনসাধারণকে রক্ষা ও সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে। যানবাহন ও লোকজনের চলাচল বন্ধের পাশাপাশি তিনি পরিষদের উদ্যোগে নিয়মিত সচেতনতামূলক মাইকিং, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও জীবানুনাশক সাবান বিতরণ করে আসছেন।
রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের তেমুহনী স্টেশনে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ মোহাম্মদ ইসলাম, আবুল হোছন, রমজান আলী, নুরুল আলম জানিয়েছেন-উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমের তত্ত¡াবধানে তারা (গ্রাম পুলিশ) গত ১ জুলাই থেকে চলমান কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে আসছেন। কঠিন দূঃসময়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারায় তারা আনন্দিত।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য রাশেদা খানম জানিয়েছেন- গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের সকল সচেতনতামূলক কর্মকান্ডে নানাভাবে ভূমিকা রাখছে। পরিষদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জীবনের ঝূকি নিয়ে এভাবে কাজ করা গ্রাম পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।