মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী:
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ১ সপ্তাহে উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক রোগী আক্রান্ত হয়ে সরকারী হাসপাতালসহ উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়,করোনায় শ্বাস কস্ট নিয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। ১০ শয্যা করেনা বেড সেখানে সংযোগ করা হয়েছে ১২টি অক্সিজেন । গত বুধবার(৭ জুলাই) এবং বৃহস্পতিবার মোট ১৪ জনকে করোনা বেড এ ভর্তি করা হয়েছে। ‘করোনা ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত কোনো চিকিৎসক নেই। হাসপাতালের মূল ভবন থেকে মেডিক্যাল অফিসার এনে করোনা আক্রান্ত এবং আইসোলেশনে থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ দিকে করোনা পজিটিভ সনাক্ত বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৌরসভা সদর ও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নির্বাহী নেতৃত্বে টহল ও ভ্রাম্যমান আদালত
পরিচালনা করছেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান খোলা রাখার নির্দেশনা জারী থাকলেও কিছু কিছু ব্যবসাী তা মানছেন না। আইন শৃংখলা বাহিনী টহল থাকা অবস্থায় অনেকেই দোকান বন্ধ করে দিলেও পরে তারা কৌশলে খোলা রাখেন। প্রশাসনের জোরালো টহল ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সত্বেও করোনা সচেতনতায় সাধারণ মানুষ অনেকটাই অসেচতনভাবে ঘোরাফেরা ও কেনাকাটা করছে।

অন্যদিকে টিএইচও সৈয়দ ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, উপজেলা হাসপাতাল করোনা রোগীর চিকিৎসায় পর্যাপ্ত বেড না থাকলে চিকিৎসক, ওষুধ ও আলাদা বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন। পার্শ্ববর্তী উপজেলা রাউজান ও ফটিকছড়ি থেকেও এই উপজেলা হাসপাতালে করোনাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শয্যার থেকেও বেশি রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে করোনা ওয়ার্ডে। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনো ত্রুটি হচ্ছে না। পর্যাপ্ত ওষুধ এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখ্য, হাটহাজারী উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫০ জন নারী পুরুষ মারা গেছেন।