সিবিএন ডেস্ক:
ব্রাজিলের শুরুটা ছিল ছন্দময়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে শেষটা হয়েছে অস্বস্তিতে। ঘাম ঝরানো জয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা। কোয়ার্টার ফাইনালে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেইমারসহ বেশ কয়েকজনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ তিতে। তাই এই ম্যাচে পরিবর্তন আনা হয় ৮টি। গোলবারের নিচে ফেরেন এদেরসন। একাদশে ফেরেন দানিলো, সিলভা, কাসেমিরো, ফ্রেদ, জেসুস, রিচার্লিসন ও নেইমার।

নিলতন সান্তোস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে দুই দল সুযোগ তৈরি করলেও সুবর্ণ সুযোগগুলো হাতছাড়া করেছে ব্রাজিল। ১৫ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে বল পেয়ে যান রিচার্লিসন। দৌড়ে লং রেঞ্জের শট নিয়েছিলেন। কিন্তু বাম প্রান্ত থেকে তার নেওয়া নিরীহ শট সরাসরি জমা পড়ে ব্রাভোর গ্লাভসে।

২২ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করে তারা। বাম প্রান্ত থেকে চিলি রক্ষণকে বোকা বানিয়ে দূরের পোস্ট বরাবর ক্রস দিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু লক্ষ্যে বল রাখতে পারেননি এগিয়ে আসা ফিরমিনো।

২৭ মিনিটে প্রতি আক্রমণে ভালো সুযোগটি পেয়েছিল চিলিও। একক প্রচেষ্টাতে ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে দুরূহ কোণ থেকে শট নিয়েছিলেন চিলির ফরোয়ার্ড ভারগাস। ব্রাজিল গোলকিপার এদেরসন বাম প্রান্তে ঝাঁপিয়ে কোনও মতে তার শট রক্ষা করেছেন।

৩২ মিনিটে আবার সুযোগ তৈরি করেও হতাশ করে সেলেসাওরা। বক্সের প্রান্ত থেকে দানিলোর নেওয়া শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। বিরতির আগে জেসুসের শট দারুণ সেভে রক্ষা করেন চিলির গোলকিপার ব্রাভো।

বিরতির পর ফিরমিনোর বদলে নামেন প্যাকেতা। আর তাতেই দৃশ্যপট পাল্টে যায় সেলেসাওদের। ৪৬ মিনিটে গোলমুখে নেইমারের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে চিলির জাল কাঁপিয়ে দেন লুকাস প্যাকেতা।

দুই মিনিট বাদে অবশ্য বাজে ট্যাকলের খেসারত দিতে হয় স্বাগতিকদের। ব্রাজিল পরিণত হয় ১০ জনের দলে। সরাসরি লাল কার্ড দেখেন জেসুস। বল দখল করতে গিয়ে বুট দিয়ে চিলি খেলোয়াড় মেনার মুখ বরাবর আঘাত করেন তিনি! তার পর থেকেই বেশ চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। ৬২ মিনিটে চিলি সমতাও ফিরিয়েছিল। ফ্রি কিক থেকে জাল কাঁপিয়েছিলেন ইসলা। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় তা। ভার রিভিউ নেওয়া হলে আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে পরে।

এর পর শেষ দিকে বার বার ব্রাজিল রক্ষণে ত্রাস ছড়ায় ২০১৫ ও ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন চিলি। ভাগ্যদেবী সহায় না থাকায় কাঙ্ক্ষিত গোল তারা পায়নি। যেমনটি হয়েছিল ৭৮ মিনিটে। ভারগাসের দেওয়া শট থেকে বল পেয়ে লক্ষ্য বরাবর শট নেন মেনসেস। দারুণ দক্ষতায় তার শট বাঁচিয়ে দেন ব্রাজিল গোলকিপার।

৮১ মিনিটে সময় নষ্ট করার মাশুল দেন ব্রাজিল গোলকিপার এদেরসন। হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। শেষটায় আর গোল না হলেও নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল ব্রাজিল।

এই জয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ পেরু। যারা প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউটে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে প্যারাগুয়েকে। নির্ধারিত সময়ে খেলাটি ড্র হয় ৩-৩ গোলে।