মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
বান্দরবানের লামা উপজেলায় বন্যহাতি তান্ডব চালিয়ে তছনছ করে দিয়েছে মোস্তফা এগ্রো প্রোডাক্টের ৫০০টি ফলদ বনজ গাছ ও ১টি খামার ঘর। এ সময় হাতির আক্রমণ থেকে আত্নরক্ষা করতে গিয়ে আবদুর রহিম (২০) নামের এক রাবার শ্রমিক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি সিলিংখালের পাশে মোস্তফা এগ্রো প্রোডাক্টের বাগানে ১০-১২টি হাতি তান্ডব চালিয়ে এসব বসতঘর তছনছ করে দেয়।এতে বাগান মালিকের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবী করা হয়েছে। বর্তমানেও হাতিগুলো ওই এলাকায় অবস্থান করায় আতংকে আছেন বাগান শ্রমিকসহ স্থানীয়রা।

সূত্র জানায়, গহিন পাহাড় থেকে ১০-১২টি বন্যহাতি বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মোস্তফা এগ্রো প্রোডাক্টর বাগানে নেমে পড়ে। হাতিগুলো প্রথমে একে একে বাগানের ফলন্ত ৪০০টি আম গাছ ও ১০০টি রাবার নারিকেলসহ বিভিন্ন গাছ উপড়ে ফেলে। একই সময় হাতিগুলো বাগানের একটি খামার ঘরও ভেঙ্গে দেয়। এক পর্যায়ে বাগানে হাতি প্রবেশের খবর পেয়ে আত্নরক্ষার সময় আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্বচাম্বী ডিগ্রি খোলার আমির আলীর ছেলে আবদুর রহিম আহত হন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোস্তফা এগ্রো প্রোডাক্টর বাগান ম্যানেজার আবদুল মালেক বলেন, রাতভর ১০-১২টি হাতি বাগানে প্রবেশ করে একটি খামার ঘর, ৫০০টি বনজ ও ফলদ গাছ তছনছ করে দেয়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, এখনো হাতিগুলো এলাকায় অবস্থান করায় লোকজন এখন চরম আতঙ্কে রয়েছেন। আবারও যে কোন মুহুর্তে তান্ডব চালিয়ে জান ও মালের ক্ষতিসাধন করতে পারে।

এ বিষয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার জানান, হাতি দ্বারা আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদেরকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।