অনলাইন পত্রিকা ভয়েস ওয়ার্ল্ড-এ “কক্সবাজারে কোটিপতি ‘ইয়াবা জামাই’: ব্যবসা চলে শালা-দুলাভাই মিলে” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

মূলত: সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। সেইসাথে পুরোপুরি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তা প্রকাশ করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রীর সাব কন্ট্রাক্টর। মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে উপ-কন্ট্রাকে কাজ নিয়ে মানুষের বাড়ি নির্মাণ করি। তা সত্বেও সততা এবং নিষ্ঠার সাথে জীবনযাপন করে আসছি। এখন বাড়ির পাশে একটা ছোট্ট মোদির দোকান করে দু’বেলা দু’মুঠো খাই। কখনো লোভের বসবতি হয়ে নীতিহীন হইনি।

সংবাদে আমি ও আমার ছেলে রাসেলকে জড়িয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সহযোগি উল্লেখ করে কাল্পনিক যে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তাও খুবই দুঃখজনক। তাছাড়া চকরিয়ায় বসবাসকারী আমার মেয়ে জামাই কখন ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়েছিল-সেই অপরাধের সহযোগি হিসেবে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর পর আমরা বাপ-ছেলেকে জড়ানোর পায়তারা হচ্ছে। পাশাপাশি পারভেজও আদৌ মাদকের সাথে জড়িত, নাকি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কারো দ্বারা ফেঁসে গিয়ে আটক হয়েছিল সেটি আইন-আদালতের রায়ে প্রমাণ হবে। তখন সে দোষি সাব্যস্ত হলে দেশের প্রচলিত আইন তাকে যে শাস্তি দিবে তা মাথাপেতে নিতে হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারণ আমরা সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

কিন্তু বিচারাধিন একটি ঘটনা নিয়ে অন্যজনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে যেভাবে আমার পরিবারের মানহানি করা হলো সেটিও চরম অন্যায়। কারণ আমি হলফ করে স্পষ্টভাবে বলতে পারি-জীবনে কখনো শুধু মাদক নয়, সমাজ এবং রাষ্ট্র বিরোধী কোন ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত ছিলামনা, এখনো নেই, আগামীতেও থাকবো না।

কোন অপরাধ করলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা থানায় আমার নামে মামলা থাকার কথা। আবারও স্পষ্ট বলছি-কেবল মামলা কেন একটি জিডিও দেখাতে পারলে আগামীতে আর কোনদিন পত্রিকায় এ ধরণের ব্যাখ্যা এবং প্রতিবাদ লিখবোনা। তাই সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলতে চাই-আপনারা সত্যটা লিখুন, মিথ্যার ফুলঝুরি দিয়ে সত্যকে ঢেকে দিবেন না। আপনাদের একটি ভুলে অন্যের নির্দোষ বহু জীবন নষ্ট হতে পারে, দয়া করে তা করবেন না।

পরিশেষে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি এসব মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা এবং জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী

জাফর আলম
পূর্ব মোহাজের পাড়া, ১০নং ওয়ার্ড
কক্সবাজার পৌরসভা।