সংবাদদাতা:

কক্সবাজার জেলায় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান। এর জন্য সারাদেশ থেকে শ্রমজীবী মানুষ এই কক্সবাজার শহরে আসেন কাজ করতে।

সমুদ্র তীরবর্তী শহর কক্সবাজার, সারাদেশ সহ সম্পূর্ণ পৃথিবীতে দীর্ঘতম সাগরের জন্য পরিচিত। তেমনি আরেকটি কারনে পরিচিত, যার নাম “ইয়াবা”।

বিভিন্ন সময় কক্সবাজার থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়লেও খুচরা মাদক বিক্রেতারা বিভিন্ন এলাকায় নিরবে চালিয়ে যায় মাদক ব্যবসা।

এই সব মাদক কারবারিরা খণ্ডকালীন সময়ের জন্য জেল- হাজতে গেলেও, আবার জামিনে মুক্ত হয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে করে যায় মাদক ব্যবসা।

তেমনি কক্সবাজার সদরের পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ডের বদি আলম – আমিনা দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে খুচরা মাদক বিক্রি আসছে কক্সবাজার সদরের বিজিবি ক্যাম্প, টিন্টি অফিস সহ বিভিন্ন এলাকায়।

অনেকবার মাদকের মামলায় আটক হলেও তারা কিছুদিন পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবার শুরু করে মাদক ব্যবসা।

এলাকার উঠতি তরুণ থেকে শুরু করে, ওয়াশা প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিক, টমটম চালকরাই মাদক বিক্রির জন্য এদের প্রধান টার্গেট থাকে এবং মাদক বেচাকেনার মাধ্যমে তাদের মাঝে গড়ে উঠে সখ্যতা।

অত্র এলাকার বসবাসকারী নুরুল হুদা মামুন জানান, এই মাদক কারবারিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আসছে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে।

যার ফলে তাদের মাদক বিকিকিনিতে বাধা দিলে, এই দম্পতি বিভিন্ন সময় এখানে কর্মরত শ্রমিক সহ উঠতি বখাটের দ্বারা আমাদের হেনস্তা করে আসছে।

বিজিবি ক্যাম্প এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন,

বদি আলম-আমেনা দম্পতি কক্সবাজার জেলার বাইরে থেকে কাজ করতে আসা মাদকসেবিদের মাধ্যমে বড় বড় ইয়াবার চালান চট্টগ্রাম -ঢাকা সহ উত্তরবঙ্গে পাঠিয়ে থাকে।

এছাড়াও বিজিবি ক্যাম্পের উঠতি বখাটে তরুণদের মাঝে এই দম্পতির খুবই জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি দ্রুত এই ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।