সাইদুল ইসলাম ফরহাদ :

সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও বৃষ্টির কারণে আজ শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজারের সড়কগুলো গতকালের তুলনায় বেশি ফাঁকা ছিল। আজ সকালে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি একেবারেই কম চোখে পড়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে।

কক্সবাজার কলাতলী এলাকায় বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে প্রধান সড়কের তুলনায় অলিগলিতে মানুষের চলাফেরা কিছুটা বেশি চোখে পড়েছে। সকালের দিকে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের যানবাহন যাতায়াত করতে দেখা গেছে। পণ্যবাহী কিছু যান চলাচল করেছে।গতকাল যারা বিনা কারণে বের হয়েছেন, তাদের অনেককেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হতে হয়েছে অথবা জরিমানা দিতে হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত এপ্রিল থেকে বিভিন্ন মাত্রায় বিধিনিষেধ জারি করে আসছিল সরকার। কয়েকটি জেলা ‘লকডাউন’ও করা হয়। তবে এবারের বিধিনিষেধের ভিন্ন দিক হলো, এ দফায় সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে মাঠে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে কক্সবাজারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছে প্রশাসন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ ও পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান সরাসরি এই কার্যক্রমের নেতৃত্বে দেন। কক্সবাজার শহর সহ ৮ উপজেলার সর্বত্র UNO, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্বে লকডাউন কার্যকরে দিনভর সরব ছিলো সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।

সর্বাত্মক  লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলা জুড়ে ৫০টি অভিযানে ১৬১টি মামলা করেছে। এই সময় লকডাউনে আইন ভঙ্গকরা ১৭২ জনকে ৯১,৬৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

সড়কে মানুষের চলাচল কমাতে ও লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন আগামী ৭জুলাই পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।