সিবিএন ডেস্ক
সিরাজ খাতুন (৩৩)। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা এবং বাংলাদেশের নাগরিক।
কিন্তু নিজের অজ্ঞাতেই বাংলাদেশি নাগরিক ভেবেই এক রোহিঙ্গা যুবককে বিয়ে করে ফেঁসে গিয়েছিলেন সিরাজ খাতুন। প্রতারণার শিকার বুঝতে সেই রোহিঙ্গা যুবককে ছেড়ে এলেও রোহিঙ্গা স্বামীর পদবী তাকেও রোহিঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত করে।
চট্টগ্রামে নিজের পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা পরিচয়ে গ্রেপ্তার হয়ে যেতে কারাগারে। ৯ মাসের সন্তানসহ প্রায় ২৬ দিন কারাভোগের পর বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ )-এর সহায়তায় মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি মিলেছে সিরাজ খাতুনের।
সিরাজ খাতুনকে আইনি সহায়তা প্রদানকারী মানবাধিকার আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান জানান, সিরাজ খাতুন বাংলাদেশের নাগরিক এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। রোহিঙ্গা যুবকের বৈবাহিক প্রতারণার শিকার হয়ে সিরাজ খাতুনকে কারাগারে যেতে হয়। মূলত বিয়ের পর রোহিঙ্গা যুবক সিরাজ খাতুনকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে গেলে সেখানে সিরাজ খাতুনকে রোহিঙ্গা হিসেবে নিবন্ধন করা হয়। পরে এই রোহিঙ্গা স্বামীর কাছ থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। কিছুদিন পর নিজের পাসপোর্ট করতে গেলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার সময় রোহিঙ্গা নিবন্ধনে সিরাজ খাতুনের নাম দৃশ্যমান হয়। এর প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা নাগরিক হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় সিরাজ খাতুনকে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সিরাজ খাতুনকে বিনা খরচে দীর্ঘ আইনি সহায়তা দেয় বিএইচআরএফ।
আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান জানান, সিরাজ খাতুনের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে যাবতীয় প্রমাণপত্র আদালতে উপস্থাপন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর গত ১৬ জুন আদালত সিরাজ খাতুনের জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু জামিনের জিম্মা নামায় স্বাক্ষর জটিলতার কারণে তিনি এতোদিন কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। সর্বশেষ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের জিম্মায় জামিননামা কারাগারে পৌঁছানের পর মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন সিরাজ খাতুন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।